পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
আনলক-টু পর্বে গত পয়লা জুলাই দীঘা মোহনার মৎস্য নিলামকেন্দ্র খুলে গিয়েছে। পাশাপাশি ওই দিন থেকে এখনও পর্যন্ত শঙ্করপুর, পেটুয়াঘাট মৎস্যবন্দর এবং শৌলা মৎস্য আহরণকেন্দ্র থেকে হাজার তিনেক ট্রলার-লঞ্চ সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছে। যে সমস্ত ট্রলার আগে মাছ ধরতে পাড়ি দিয়েছিল, সেগুলি ফিরতে শুরু করেছে। গত ছ’দিনে ৩০০কুইন্টালের বেশি সামুদ্রিক মাছ দীঘা মোহনা ফিশ মার্কেটে বিক্রি হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই পমফ্রেট। এছাড়া রয়েছে বাম( ব্ল্যাক ইল), সাদা চিংড়িও রয়েছে।
দীঘা মোহনায় পাইকারি ফিশ মার্কেটের আড়তগুলিতে গিয়ে দেখা গেল, জায়গায় জায়গায় ডাঁই হয়ে রয়েছে পমফ্রেট। নিলামের পর ব্যববসায়ীরা তা নিয়ে যাচ্ছেন। মাছের দর অন্যান্য বছরের তুলনায় এখনও পর্যন্ত অনেকটাই কম। বড় পমফ্রেট মাছ আগে বিক্রি হতো ১০০০টাকা থেকে ১১০০টাকা কেজি দরে। কিন্তু, এবছর সেই মাছের দাম ৮০০টাকায় নেমেছে। ওজন অনুযায়ী ৩০০ থেকে ৮০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে পমফ্রেট। বাম মাছ আগে ৬৫০টাকা কেজি ছিল। এখন তা ৩০০টাকায় নেমে এসেছে। সাদা চিংড়ি আগে ৯০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এখন তা হচ্ছে ৬০০টাকায়। পাশাপাশি খোলা বাজারেও মাছের দাম কমেছে।
দীঘার পার্শ্ববর্তী রামনগরের বাসিন্দা সুদীপ দাস বলেন, আগে আমাদের এলাকার পমফ্রেট সহ অন্যান্য দামি মাছ বাইরের রাজ্যে রপ্তানি হতো। করোনার জন্য ট্রেন, বিমান বন্ধ থাকায় এবার তা হচ্ছে না। তাই দাম কমেছে। বড় আকারের মাছ একটু কম দামে হলেও সাধারণ মানুষ কিনতে পারছে।
দীঘা মোহনা মৎস্যজীবী সংগঠনের অন্যতম কর্মকর্তা নবকুমার পড়িয়া বলেন, ইলিশ ধরা পড়ার অনুকূল আবহাওয়া হল ঝিরঝিরে বৃষ্টি ও পুবালি হাওয়া। সেই পরিবেশ এখনও ঠিকঠাক তৈরি হয়নি। তাই জালে আশানুরূপ ইলিশ উঠছে না। এ পর্যন্ত যা ইলিশ উঠেছে, তা বলার মতো নয়। তবে পমফ্রেট সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছের প্রচুর জোগান রয়েছে। বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতির কারণে সামুদ্রিক মাছের কারবারে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। শুধু অন্যান্য রাজ্য নয়, বিদেশে সামুদ্রিক মাছ রপ্তানিও স্বাভাবিক হয়নি। সেই কারণেই ওই সব মাছ অপেক্ষাকৃত কম দামে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, মাছ ধরার খরচ বাড়ছে। কিন্তু মাছের দাম কমছে। সামুদ্রিক মাছের দাম একধাক্কায় অন্তত ৪০শতাংশ কমে গিয়েছে। এই অবস্থায় ব্যবসার কী হাল করে তা নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় রয়েছি।
জেলা সহ মৎস্য অধিকর্তা( সামুদ্রিক) সুরজিৎ বাগ বলেন, বিদেশে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকায় দাম কমেছে ঠিকই। তবে এখনও পর্যন্ত খুব খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। বিষয়টির উপর নজর রাখা হয়েছে। আশা করছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।