কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া নেতাদের তালিকায় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ, এক পঞ্চায়েত প্রধান, দুই অঞ্চল সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০জন সদস্য, দুই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং একঝাঁক বুথ ও অঞ্চল কমিটির নেতা রয়েছেন।
এদিন ভেকুটিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পঙ্কজ দাসকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া কেন্দামারি-জালপাই অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি বনবিহারী পালকে এবং ওই পঞ্চায়েতের প্রধান মানসুরা বেগমকেও তাঁদের পদ থেকে সরানো হয়েছে। শাস্তির কোপে পড়েছেন ভেকুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা মেহেরা বিবি, কনকতলা মিদ্যা, বিজয় জানা, বাবুখানবাড়ের বুথ সভাপতি শেখ মুস্তাকিন, কুলতল্যা বুথের সভাপতি জয়ন্ত বিজলি, আমতলা বুথের সভাপতি তপন বেরা, অঞ্চল কমিটির পদে থাকা শেখ হাসিবুল, দেবকান্ত মাইতি, মনোরঞ্জন বেরা, অশোক পণ্ডা ও শেখ মুসিয়ার।
নন্দীগ্রাম-১ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভোলানাথ দাস, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য শেখ মালেক ও রেবা পট্টনায়েক, সামসাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তিন সদস্য স্বপন পড়ুয়া, অপুরানি পাত্র ও রেখা দেবনাথকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার সদস্য অসিতকুমার পাল, মনোরঞ্জন মান্না, অনিমা দাস ও দোলেনা বিবিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ভোলানাথ দাস অবশ্য বলেন, আমাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে কোনও খবর নেই। তাঁর দাবি, তিনি নিজে ক্ষতিপূরণের টাকা নেননি।
যদিও ব্লক সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেন, ভোলানাথবাবু টাকা নেননি, কিন্তু তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে। তাই তাঁকে টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তিনি টাকা ফেরত দেননি। সেজন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে এদিন মোট ২৫জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লকে মোট ৮৭ জন ১৭ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। মঙ্গলবার আরও ৪০জন আট লক্ষ টাকা ব্লক অফিসে জমা দিয়েছেন। বাকিদের শুক্রবারের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে হবে বলে দলীয় নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছে। তা না হলে এফআইআর করা হবে। ফেরত দেওয়া টাকা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। সেই তালিকা জেলাশাসক বিডিওদের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছেন। এছাড়া ঝড়ে আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৭০ কোটি টাকা এসেছে। ১ লক্ষ ৪০ হাজার আংশিক ক্ষতিগ্রস্তকে ওই টাকা দেওয়া হবে।
নন্দীগ্রামে উম-পুনে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ উঠতেই টাকা ফেরানোর পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্ব একঝাঁক নেতার বিরুদ্ধে নিয়েছে কঠোর পদক্ষেপ। জমি রক্ষা আন্দোলনের পীঠস্থান নন্দীগ্রামের মাটি ধরে রাখতেই শাসক দল এই কঠোর এবং নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।