বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নেটিজেনরা এভাবেই ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপে বিদ্ধ করছেন রেলমন্ত্রককে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘লোকাল ট্রেন কিনতে চাই’ জাতীয় বিভিন্ন ধরনের পেজ চালু করা হয়েছে। সেখানেই ট্রেনের ‘ক্রেতা’দের ভিড় উপচে পড়ছে। এভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিদ্ধ করা বেশির ভাগই যুবক।
রেলের বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে তৃণমূল আন্দোলনে নেমেছে। মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই তারা বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে। মাইক ধরে কেন্দ্রীয় সরকারকে তারা তুলোধোনা করেছে। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার নেটিজেনরাও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় শাসকদল খুশি। মুর্শিদাবাদ জেলার তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, রেল আমাদের দেশের সম্পদ। এটাকে কখনোই বেসরকারি মালিকানার হাতে তুলে দেওয়া যায় না। দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতিবাদ করা দরকার। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁরা প্রতিবাদ করছেন তাঁদের অনেকেই কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁরা দেশকে ভালবেসে প্রতিবাদ করছেন। আগামী দিনে আরও জোরালোভাবে প্রতিবাদ হবে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই ট্রেন বেসরকারিকরণের বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপের ঝড় বইছে। অনেকেই তা জমিয়ে উপভোগ করছেন। কেউ কেউ গানের লাইন ধার করে বিশেষ পেজে লিখেছেন, ‘শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরব না না না।’ পরের লাইনে লেখা হয়েছে, চাইলেও ফেরা যাবে না। কারণ সব ট্রেন বিক্রি হয়ে গিয়েছে। অনেকে ট্রেনের দামও আবার ঠিক করে দিয়েছে। কেউ কেউ একটু এগিয়ে বর্ধমান বা বনগাঁ লোকাল ট্রেনের সামনে ছবি তুলে নিজেদের সম্পত্তি বলে দাবি করেছেন। নেটিজেনরা বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন বিষয় ভাইরাল হয়েই থাকে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও তা থেকে বাদ যায় না। কিন্তু লোকাল ট্রেন কেনা নিয়ে যেভাবে মন্তব্য পোস্ট হচ্ছে তাতে এই মহামারীর সময়েও জনতা মন খুলে হাসতে পারছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন সদস্য ব্যাঙ্গ করে চলছেন। অনেকেই বলছেন, এই কঠিন সময়ে রসিকতার মতো এমন বিষয় খুব কম এসেছে। তাই নেটিজেনরা তা হাতছাড়া করতে চাইছেন না।