বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
শিক্ষকদের দাবি, হাইস্কুলের ক্ষেত্রেই এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় ১০ হাজারের বেশি শিক্ষক সমস্যায় পড়েছেন। প্রতি বছর শিক্ষকরা মার্চ মাস থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রাপ্য ১২ মাসের বেতনের ট্যাক্স জমা দেন। কারণ, শিক্ষকরা মার্চ মাসের মাইনে এপ্রিল মাসে পান। তাই ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন মার্চে হওয়ার সময়ই তাঁরা চূড়ান্ত ট্যাক্স জমা দিয়ে দেন। এবারও প্রায় সকল শিক্ষক ফেব্রুয়ারি মাসের মাইনে মার্চ মাসের শুরুতে পাওয়ার পর ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষের হিসেবে ১২ মাসের বেতনের ট্যাক্স জমা দিয়ে দিয়েছেন।
কিন্তু, এবার মার্চ মাসের ৩১ তারিখেই ট্রেজারি থেকে মাইনে ছাড়া হয়ে গিয়েছে। শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা এপ্রিল মাসের ১ তারিখ বা ২ তারিখে ঢুকেছে। কিন্তু, ৩১ মার্চ টাকা ছাড়ার জন্য ২০২০ সালের মার্চ মাসের বেতনও ২০১৯-২০২০ অর্থবর্ষে ঢুকে গিয়েছে। ফলে, তাঁদের ১২ মাসের ট্যাক্স দেওয়ার পরে একই অর্থবর্ষে আরও একমাসের ট্যাক্স দিতে হবে।
শিক্ষকদের দাবি, মার্চ মাসে ইয়ার এন্ডিং। তাই মার্চ মাসের বেতন ঢুকতে দেরি হয়। অনেক সময় এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ পর্যন্ত গড়িয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মার্চ মাসের বেতন পরের অর্থেবর্ষে ধরা হয়। কিন্তু, এবার ১৩ মাসের বেতন নিয়ে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শিক্ষকদের। প্রথমত, যাঁরা ১২ মাসের আয়ের হিসেবে ট্যাক্স দিয়েছেন, তাঁদের একমাসের ট্যাক্স দেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে গিয়ে টিআর ফর্মের মাধ্যমে জমা দিতে হবে। অথচ, ২০২০ সালের মার্চের ট্যাক্স পরের বছর দিতে হতো। কিন্তু, এই ঘটনার জন্য তাঁদের হয়রান হতে হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, এমন অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যাঁদের আয়কর ছাড়ের সঞ্চয় সহ বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। তাঁরা ট্যাক্সের আওতায় ছিলেন না। কিন্তু, ১৩ মাসের মাইনের জন্য তাঁরা ট্যাক্সের আওতায় চলে আসছেন। অথচ, সঠিকভাবে বেতন জমা হলে তাঁদের ট্যাক্স দিতে হতো না।
পূর্ব বর্ধমানের শিক্ষক নেতা অনুপ ভট্টাচার্য বলেন, একই অর্থবর্ষে ১৩ মাসের মাইনে কোনওদিন হয়নি। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এই ধরনের ঘটনা ঘটল। এ নিয়ে নানা বিভ্রান্তি হচ্ছে। শিক্ষকরাও সমস্যায় পড়েছেন। আমরা চাই, এর সুষ্ঠু সমাধান হোক। পূর্ব বর্ধমানের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) শ্রীধর প্রামাণিক বলেন, বিষয়টি জানি। কিন্তু, এটি শিক্ষাদপ্তরের বিষয় নয়। ট্যাক্সের যা নিয়ম রয়েছে, সেই হিসেবেই শিক্ষকদের ট্যাক্স দিতে হবে।