বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নাজিরপুর শাখার অধীনে ১১টি গ্রাহক সেবা কেন্দ্র রয়েছে। তারমধ্যে রাজাপুর কেন্দ্রের মালিক এলাকারই যুবক রজ্জাক দেও। আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রামের বহু মানুষ টাকা রেখেছিলেন। মাসিক আয় প্রকল্পেও অনেকে টাকা রেখেছিলেন। গ্রাহকদের অভিযোগ, কোনও টাকাই ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। গ্রাহকরা বলেন, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের মালিক ও কর্মচারী টাকা নয়ছয়ে জড়িত। ব্যাঙ্কে মাসিক আয় প্রকল্পের টাকা নিয়ে ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাসিক সুদ দিয়ে দেওয়া হতো। বুধবার রাতে বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়। বাড়ির সঙ্গেই রয়েছে সেবা কেন্দ্রটি। তারপরই তাঁদের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার থেকে অনেকে ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতে যান। তারপরই এই টাকা নয়ছয়ের ঘটনা সামনে আসে। জাননগর গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ছেলের পড়াশোনার জন্য জমি বিক্রি করে তিন লক্ষ টাকা এমআইএস করেছিলাম। একটা সার্টিফিকেট দিয়েছিল। মাসে মাসে সুদ ট্রান্সফার করত। সোমবার এসে রাজ্জাক সার্টিফিকেট নিয়ে যায়। বুধবার পালিয়ে যায়। ব্যাঙ্কের বই আপডেট করতে গেলে নানা অজুহাতে ফিরিয়ে দেওয়া হতো। ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারি অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। সার্টিফিকেটটি ভুয়ো বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক। ওরা কোনও দায় নিতে চাইছে না।
ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রাজীব ঝা বলেন, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই। একটি কোম্পানি ওদের নিয়োগ করে। ব্যাঙ্ক গ্রাহকদের দায় নেবে না। গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের কর্মী লিটন কবির বলেন, আমি কর্মী ছিলাম। এই বিষয়ে কিছুই জানি না। বুধবার ও পালিয়ে যাওয়ার পর সব জানতে পারি। এব্যাপারে অভিযুক্ত রাজ্জাকের ফোন বন্ধ ছিল। তার ভাই আবদুল্লা দেওকে ফোন করা হলে বলেন, দাদার সঙ্গে আমাদের পরিবারের কোনও সম্পর্ক নেই। দাদা কী করেছে আমরা বলতে পারব না।