পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তমলুক পুরসভার পার্বতীপুর এলাকার ৭৮বছর বয়সি এক বৃদ্ধ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তমলুক ব্লকের দামোদরপুর গ্রামে ৫৪বছর বয়সি এক প্রৌঢ়, চাপবসান গ্রামের ৩৪বছর বয়সি এক ব্যক্তি, হিজলবেড়্যা গ্রামের ৩১বছর বয়সি এক যুবক, রামকালুয়া গ্রামে ৩৯বছর বয়সি এক ব্যক্তি এবং গড়কিল্লা গ্রামে ৪০বছর বয়সি এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোলাঘাট ব্লকের ছাতিন্দা গ্রামের এক দম্পতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৪৩বছর বয়সি ওই ব্যক্তি কাঠের ব্যবসা করেন। তাঁর কলকাতায় যাতায়াত ছিল। জ্বর ও কাশির উপসর্গ থাকায় ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। কোলাঘাট ব্লকের বাথানবেড়িয়া গ্রামের এক১৮বছর বয়সি এক কিশোর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই ব্লকের পরমানন্দপুর গ্রামে ৪৩বছর বয়সি আর এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে গোবরা গ্রামে ৪৫বছর বয়সি একজন এবং দাঁড়িয়ালা গ্রামে ৩৮বছর বয়সি আরও একজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। পটাশপুর-১ব্লকে দু’জন করোনা পজিটিভ। মণিনাথপুর গ্রামে ৪৪বছর বয়সি একজন এবং বড়হাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বারভাগিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হলদিয়া পুরসভার প্রিয়ংবদা এলাকার ২৬বছর বয়সি এক যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। হলদিয়া ব্লকের দ্বারিবেড়িয়া গ্রামে ৫৫বছর বয়সি এক প্রৌঢ়, ৪৯ ও ৪৫বছর বয়সি আরও দু’জনের করোনার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
হলদিয়া পুরসভার দুর্গাচক এলাকায় মা ও মেয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গৃহকর্তা হলদিয়ায় একটি সংস্থায় কাজ করেন। আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফতেপুরে। লকডাউনে মা ও মেয়ে উত্তরপ্রদেশে আটকে ছিলেন। ১জুলাই তাঁরা ট্রেনে করে ফেরেন। তারপর দু’জনের করোনা টেস্ট হয়। তাঁদের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। মহিষাদল ব্লকের পূর্ব শ্রীরামপুর গ্রামে ১৯বছর বয়সি এক কিশোর করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও এগরা-১ব্লকে পাঁচরোল এবং ২ ব্লকের উত্তর তাজপুর গ্রামের দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই পরিযায়ী শ্রমিক।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশকিছু নমুনা আটকে ছিল। সোমবার রাতে সেইসব নমুনার রিপোর্ট এসেছে। তাতেই একসঙ্গে ২৪জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আক্রান্তদের বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আক্রান্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগই বাড়িতে ছিলেন। তাই তাঁদের পরিবারের সদস্যদের করোনা টেস্ট করা হবে।