কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রানাঘাট-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা শাসকদলের ব্লক সভাপতি তাপসকুমার ঘোষ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। রিপোর্ট আসার কয়েক ঘণ্টা আগেও সোমবার তিনি তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর সিং সহ কয়েকশো নেতাকর্মীর সঙ্গে মিছিল করেছেন। উপসর্গ না থাকায় বাড়িতেই তাপসবাবুর চিকিৎসা চলবে। তাঁর রিপোর্ট আসার পরই অনিবার্য কারণ দেখিয়ে সাতদিনের জন্য রানাঘাট-১ বিডিও অফিস বন্ধ করে স্যানিটাইজ করা হয়। তাঁর দলীয় অফিসও বন্ধ করা হয়েছে। তাঁর সংস্পর্শে আসায় বিডিও সঞ্জীব সরকার এবং তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শংকরবাবু সহ আরও কয়েকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে যেতে হয়েছে। তাঁদের পাশাপাশি বিডিও অফিসের সব কর্মীর সোয়াব টেস্ট করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
এছাড়া নাকাশিপাড়ায় ছয়, শান্তিপুরে ছয়, কৃষ্ণগঞ্জে চার, রানাঘাট-১ ব্লক, চাকদহ ও রানাঘাট পুরসভা এলাকায় একজন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে। কন্টেইমেন্ট জোনের সংখ্যাও বাড়বে বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশে আমাদের যা যা করণীয় সবটাই করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নাকাশিপাড়ায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে বাড়ি ফেরার পর কালীগঞ্জের এক যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। পরে তাঁর স্ত্রী এবং ১৩ বছরের ছেলেও আক্রান্ত হন। ওই যুবকের শ্বশুরবাড়ির আরও চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। প্রত্যেককেই কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়াও ওই ব্লকে এক কিশোর ও এক শিশুও আক্রান্ত হয়েছেন। কৃষ্ণগঞ্জে চারজনের মধ্যে তিনজন পরিযায়ী শ্রমিক। শান্তিপুর ব্লকের দুই পরিবারের মোট ছ’জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক শিশু এবং দু’জন মহিলা। বেলগড়িয়া এলাকায় মহারাষ্ট্র থেকে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী ও এক সন্তান আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও আড়বান্দি-২ পঞ্চায়েতের বাথানগাছি এলাকার ২২বছর বয়সি মহারাষ্ট্র ফেরত এবং নবলা পঞ্চায়েতের প্রফুল্লনগর এলাকার ৫৫ বছর বয়সি বেঙ্গালুরু ফেরত দুই পরিযায়ী শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। শান্তিপুর ব্লক ছাড়াও রানাঘাট পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডের বিশ্বাসপাড়া এলাকার এক ব্যক্তিও আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি দমদমে একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন।
এদিন মুর্শিদাবাদে আরও ১০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বহরমপুরের তিনজন রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে দু’জন একই পরিবারের। তাঁরা একজন আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছিলেন, অন্যজন বৃদ্ধ। তাঁর অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। তার আগে লালারস পরীক্ষা করতেই পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তিনি কীভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা খতিয়ে দেখছেন। এছাড়া সাগরদিঘির দু’জন, সামশেরগঞ্জের দু’জন, সূতির একজন এবং ফরাক্কার দু’জন আক্রান্ত হয়েছে। জেলায় সব মিলিয়ে ২৫৯জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২২৩জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। মঙ্গলবারও পাঁচজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, নতুন করে আক্রান্তদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, নলহাটি-২ ব্লকে বিদেশ ফেরত করোনা আক্রান্ত বোনের সংস্পর্শে আসা দাদারও পজিটিভ রিপোর্ট এল। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ ডাঃ স্বপনকুমার ওঝা বলেন, আক্রান্তের সংস্পর্শে আসা ওই ব্যক্তির সোয়াব পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রামপুরহাট করোনা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৫দিন আগে বিদেশ থেকে বাড়ি ফেরেন ওই মহিলা। প্রথমে তিনি তথ্য গোপন করেছিলেন।