কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ওই এলাকার সারেঙ্গা গ্রামের বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ সোমবার পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে আসে। সেখানে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এরপর পঞ্চায়েত কর্মীদের সঙ্গে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় দু’পক্ষের আটজন জখম হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ওইদিন দুপুর থেকে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে কয়েক হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। পঞ্চায়েতে আটকে পড়েন প্রধান সহ অন্যান্য কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা উত্তেজিত হয়ে পঞ্চায়েত অফিস ভাঙচুর করে। রাত ৮টা নাগাদ পুলিস পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর রাত ৯ টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।
এরপরে বিক্ষোভকারীরা প্রধান সহ ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারির দাবিতে থানার সামনে ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসে। সারারাত বিক্ষোভ চলার পরে ভোরে পুলিসের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে।
পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও পাল্টা মারধর সহ সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর পুলিস পাঁচ আদিবাসী যুবককেও গ্রেপ্তার করে।
আদিবাসী গাঁওতা সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলার কো-অর্ডিনেটার শ্যামল মুর্মু বলেন, প্রধান সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে পুলিসকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার না হলে বড়সড় আন্দোলন শুরু হবে।
পঞ্চায়েত প্রধান জয়জিৎ মণ্ডল বলেন, আমাদের মারধর ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার জন্য বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পঞ্চায়েত অফিসের কর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য পঞ্চায়েত বন্ধ রেখেছি।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের এসিপি(কাঁকসা) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে দু’পক্ষের ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।