পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
টাউনশিপ মাখনবাবুর বাজার, সুতাহাটা, দুর্গাচক সহ কয়েকটি জলবহুল মার্কেট, আদালত ও অফিসের সামনে মে মাসের শুরুতে সাতটি স্যানিটাইজেশন টানেল বসায় পুরসভা কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সপ্তাহ দু’য়েক যেতে না যেতেই সিংহভাগ টানেল অকেজো হয়ে যায়। স্যানিটাইজেশন টানেলে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড লিক্যুইড ব্যবহার হওয়ায় শহরের বেশিরভাগ মানুষ ওই টানেলে ঢুকতে আপত্তি করেন। তবে পুরসভার দাবি, উম-পুন ঝড়ে টানেলগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাজ করছে না। হলদিয়া টাউনশিপের মোহনা মার্কেটে ঢোকার মুখে রাস্তার উপর স্যানিটাইজেশন টানেলের লোহার কাঠামো পড়ে রয়েছে। সেই কাঠামোর মধ্যেই বসছে সবজি বাজার। হলদিয়া আদালতের টানেলটিও উধাও হয়ে গিয়েছে।
শুধু স্যানিটাইজেশন টানেল নয়, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কেনা থার্মাল গানগুলিও অব্যহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। করোনা মোকাবিলায় মে মাসের শুরুতে ২৯টি ওয়ার্ডে মোট ৬২হাজার পরিবারে নিবিড় থার্মাল স্ক্রিনিং ও কোভিড-১৯ ফরম্যাটে স্বাস্থ্য সমীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হলদিয়া পুর কর্তৃপক্ষ। এজন্য ২০টি থার্মাল গান কেনে পুরসভা। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি(সুডা) আরও ১০টি থার্মাল গান দেয় পুরসভাকে। ৩০টি থার্মাল গান নিয়ে অভিযান শুরু হলেও খুব কার্যকরী হয়নি। পুরসভার বাজারগুলিতে প্রতিদিনই উপচে পড়ছে ভিড়। শহরের হাটগুলিতেও নিয়ম মানা হচ্ছে না।
মঙ্গলবারই হলদিয়া পুরসভার ২০নম্বর ওয়ার্ডে উত্তর রায়রাঞ্যাচক এলাকায় গুজরাত থেকে ফেরা এক পরিযায়ী শ্রমিকের করোনা ধরা পড়ায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এলাকায়। এনিয়ে গত এক সপ্তাহে পুরসভা এলাকায় মোট ন’জন করোনা আক্রান্ত হলেন। প্রশাসনের শিথিলতা ও সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে করোনাকে তোয়াক্কা না করার মনোভাব বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সত্যব্রত দাস বলেন, হলদিয়ার কয়েকটি জায়গায় নতুন করে করোনা ধরা পড়ায় আমরাও উদ্বিগ্ন। ঝড়ের কারণে যে স্যানিটাইজেশন টানেলগুলি নষ্ট হয়েছিল, সেগুলি ফের চালু করা হবে। এজন্য বিভিন্ন শিল্পসংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে। করোনার জন্য নিবিড় স্বাস্থ্যপরীক্ষাও শীঘ্রই শুরু করা হবে।