বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, এই শহরের কয়েকটি এলাকা ডেঙ্গুপ্রবণ বলে চিহ্নিত। একসময় ডেঙ্গুতে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছিল। পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। শহরের যত্রতত্র আবর্জনা জমে থাকা পুর কর্তৃপক্ষের চিন্তা বাড়িয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫টি ওয়ার্ডে পুরসভার ৫৫৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী এই সার্ভের কাজ করছেন। সঙ্গে আছে ২১০ জনের ভেক্টর কন্ট্রোল টিম।
এদিকে শহরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। প্রায় দিনই পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। চারজনের মৃত্যুও হয়েছে। ফলে করোনাকে কেন্দ্র করে বাসিন্দাদের মধ্যে একটা আতঙ্ক আছেই। তাই অনেকে নিজে থেকেই খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে নমুনা দিয়ে আসছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ১৩৬ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। এদিন ৭৭ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এটার অবশ্য একটা ভালো দিক আছে। যত নমুনা নেওয়া যাবে, তত সংক্রমণের গতি-প্রকৃতি জানা যাবে।
হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, বেশিরভাগই বাইরে চিকিৎসা করাচ্ছেন। চিকিৎকরা এটাকে চিকুনগুনিয়া বলে সন্দেহ করছেন। এদিন হাসপাতালেও কয়েকজন জ্বর আর ব্যথার উপসর্গ নিয়ে এসেছিলেন।
পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন প্রদীপ সরকার বলেন, এই জ্বর বিশেষ করে রেল এলাকায় দেখা যাচ্ছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজরে রাখছি। শহরে ডেঙ্গুর সার্ভে যাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে করছেন, তাঁদের পুরসভা থেকে গ্লাভস, মাস্ক ও স্যানেটাইজার দেওয়া হবে।
পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোথাও আবর্জনা বা জল জমে আছে কি না, তা দেখতে বলা হয়েছে। জমা জল ফেলে দেবেন,আর বাইরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থাকলে ভেক্টর কন্ট্রোল টিমকে খবর দেবেন। মশা মারার তেলও স্প্রে করা হবে।