পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অন্য বছরের মতো এবারও করোনার পাশাপাশি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রতিটি ব্লক, পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এবিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন। বাড়িতে জমা জল থাকলে তা ফেলে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। পুরসভার ড্রেনগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করার পাশাপাশি মশা মারার তেল স্প্রে করার কাজ চলছে। জেলায় সাতটি পুরসভা রয়েছে। পুরসভাগুলির পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ব্লকগুলিতেও ডেঙ্গু সচেতনামূলক নানা কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। ফি বছরই জেলায় মশা নিধনে নিকাশি নালা ও বদ্ধ জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়। মৎস্যদপ্তরের পক্ষ থেকে সাধারণত এই মাছ সরবরাহ করা হয়। গতবছর জেলায় চার লক্ষ গাপ্পি মাছ ছাড়া হয়েছিল। যদিও গতবার গাপ্পি মাছ ছেড়েও ডেঙ্গু রোধ করা যায়নি। গত কয়েক বছরের তুলনায় গতবছরই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছিল। তবে, এবছর ডেঙ্গু প্রকোপ না থাকলেও জেলায় যক্ষ্মায় আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি রয়েছে। জুন পর্যন্ত ২২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরই করোনার প্রকোপ রয়েছে। ৬ জুলাই পর্যন্ত ৩৫৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ মৎস্য অধিকর্তা বলেন, ব্লকগুলির তুলনায় পুরসভা এলাকাগুলিতেই গাপ্পি মাছ বেশি পরিমাণে ছাড়া হয়। চলতি মাসেই টেন্ডার ডাকা হবে। আগস্টের মধ্যেই বিভিন্ন ব্লক, পুরসভা এলাকায় এই মাছ ছাড়া হবে। এই জেলায় এই ধরনের মাছ চাষ হয় না। সাধারণত হাওড়া থেকে এই মাছ সরবরাহ করা হয়। আগামী দিনে জেলায় এই মাছ চাষ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নেব।