বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় লাভপুরের ঠিবা অঞ্চলের ভাটরা গ্রামে জমি থেকে তৃণমূল কর্মী সহদেব বাগদির(৪২) গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সহদেববাবু তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। ওইদিন তিনি চাষের কাজে জমিতে যান। তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। বিকেলে জমিতে গলাকাটা নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা।
এ ব্যাপারে রবিবার মৃতের ছেলে সোমনাথ বাগদি লাভপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিস সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। সোমনাথবাবু বলেন, চাষের কাজে বাবা মোষ নিয়ে জমিতে যান। সন্ধ্যার আগে মোষগুলি ফিরে এলেও তিনি ফেরেননি। এরপর আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। পরে জমিতে কাদাজলের মধ্যে বাবার দেহ পড়ে থাকতে দেখি।
জানা গিয়েছে, ওই ঘটনার আগে ধৃত পাঁচজন শ্মশানের কাছে বসে মদ্যপান করছিল। তারাই সহদেববাবুকে খুন করেছে বলে পরিবারের অভিযোগ। রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে সহদেববাবুর ছেলে অভিযোগে জানিয়েছেন। এই ঘটনার পিছনে মনিরুল ইসলাম ও তাঁর ভাই আনারুল ইসলাম চক্রান্ত করেছেন বলে তাঁর দাবি। এলাকা দখলের জন্যই সহদেববাবুকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগে জানানো হয়েছে।
ধৃতদের এদিন বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। আদালতের সরকারি আইনজীবী শ্যামসুন্দর কোঁয়ার বলেন, আবেদন মতো বিচারক পাঁচ অভিযুক্তকে ১৪দিন পুলিস হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনায় মনিরুল ইসলামের নামও অভিযোগপত্রে রয়েছে।
তবে, এদিন আদালতে অভিযুক্তরা নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, এই ঘটনায় তারা কোনওভাবেই জড়িত নয়। এব্যাপারে অবশ্য তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিধায়ক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, গত চার মাস আগে খুন হওয়া ওই এলাকারই এক নেতার গোষ্ঠীর সঙ্গে রয়েছে এই পাঁচ অভিযুক্ত। ফলে, সহদেববাবুর খুনের ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। মনিরুল সাহেবের নাম অযথা জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি এলাকাতেই নেই।
যদিও স্থানীয় ঠিবা অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি সাহিন কাজি বলেন, অভিযুক্তরা বর্তমানে বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। আমরা চাই পুলিস ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কী কারণে সহদেববাবুকে খুন করা হয়েছে এখনও তা স্পষ্ট হয়নি। তবে অভিযুক্তদের হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের কিনারা করার চেষ্টা করা হবে।