বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ত্রুটিপূর্ণ তথ্য বা অ্যাকাউন্ট নম্বর ভুল থাকায় সমস্যা হয়েছিল। তা না হলে এপ্রিল মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের টাকা সকলকে দেওয়ার কাজ শেষ করা সম্ভব হতো। এখন গত আর্থিক বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য সব রকমের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে, নতুন আর্থিক বছরে ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য কোনও নির্দেশিকা এখনও আসেনি। এলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের বর্ষিক ১১০০ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত স্কলারশিপ দেওয়া হয়। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রাপ্ত নম্বরের শতাংশের ভিত্তিতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ২৫০০-৫৫০০টাকা, ৫০-৭৪.৯৯ শতাংশের মধ্যে ৫৫০০-১১০০০ টাকা এবং ৭৫ শতাংশের উপরে নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের ১২ হাজার থেকে ১৪০০০ টাকা স্কলারশিপ দেওয়া হয়।
এছাড়া উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্যও স্কলারশিপ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। চলতি আর্থিক বছরে এই জেলায় ৮৮ হাজার ৫০০ জন সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীকে ঐক্যশ্রী প্রকল্পে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, এবার লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি জেলায় আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। চলতি আর্থিক বছরে ১ লক্ষ ৫ হাজার ৩৯৩ জন ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের জন্য আবেদন করেছিলেন। আবেদনকারী সকলকেই স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই মতো প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাজ শুরু করা হয়। আবেদনকারীদের ফর্ম ফিলআপ করার সময় নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে হয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দেওয়া সেই অ্যাকাউন্ট নম্বরে সরাসরি টাকা ঢুকে যায়।
এপ্রিল মাস পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে এই প্রকল্পে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে। বাকি ২৫ হাজার ছাত্রছাত্রী স্কলারশিপের টাকা এখনও পাননি। যদিও এখনও অনেক ছাত্রছাত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভুল আছে। অনলাইনে ফর্ম ফিলআপ করার সময় কোনওভাবে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্যাঙ্কে কেওয়াইসি না দেওয়ার কারণেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। অনেকে অ্যাকাউন্ট খোলার পর বহুদিন লেনদেন না করায় সমস্যা হয়েছে। যাঁরা ইতিমধ্যেই সংশোধন করেছেন, তাঁদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা ঢুকে যাবে।
সংখ্যালঘু দপ্তরের এডুকেশন সুপারভাইজার সাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেন, মার্চ মাসের মধ্যেই ৭০ হাজার ছাত্রছাত্রীকে স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছিল। লকডাউনের মধ্যেও আরও ১০ হাজার জনের অ্যাকাউন্টে স্কলারশিপের টাকা ঢুকেছিল। মে-জুন মাসে স্কলারশিপ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। জুলাই মাস থেকে ফের এই কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, এই মাসের মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে।