বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, গোপালপুর থেকে সারেঙ্গা গ্রামে যাওয়ার প্রায় চার কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে সাতটি আদিবাসী গ্রামের মানুষ যাতায়াত করেন। এছাড়াও এলাকার কয়েকটি কল কারখানার পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল করে। বর্ষার জলে ওই কাঁচা রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছে। সংস্কারের জন্য বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এদিন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য দালু টুডুর কথা মতো কয়েকটি আদিবাসী গ্রামের প্রতিনিধিরা এদিন পঞ্চায়েতে স্মারকলিপি দিতে আসেন। অভিযোগ, কয়েকশো মানুষ পঞ্চায়েত অফিসে ঢুকে পড়েন। পঞ্চায়েতের এক কর্মী বাধা দিতেই বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয়।
যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, এদিন প্রাধান তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তা নিয়ে বচসা শুরু হলে পঞ্চায়েতের কর্মীরা অফিসের ভিতরে তালাবন্ধ করে মারধর করেন। অন্যদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে কয়েক হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ তির-ধনুক, বল্লম, বাঁশ লাঠি নিয়ে পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অফিসে আটকে পড়েন পঞ্চায়েত প্রাধান সহ কর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা ইট, পাথর ছুঁড়ে অফিসে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ চলাকালীন বিকেলে ঘটনাস্থলে আসেন আদিবাসী গাঁওতার নেতা সুনীল সোরেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় পঞ্চায়েতের এক আধিকারিক প্ররোচনা দিয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অবস্থান বিক্ষোভ চলবে।
পঞ্চায়েত প্রধান জয়জিৎ মণ্ডল বলেন, আমি পঞ্চায়েত সদস্যর সঙ্গে কথা বলে কয়েকজনকে স্মারকলিলি দিতে আসতে বলেছিলাম। কিন্তু, শতাধিক মানুষ এসে পঞ্চায়েত অফিসে উত্তেজনা ছড়ায়। আমাকে মারধর করে। আমাদের এক আধিকারিক ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রমেন্দ্রনাথ মণ্ডলকে মারধর করে। বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিস আছে। বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হবে।