বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের এলাকায় ১৩ জন এবং নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার অধীনে পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। রবিবার নন্দীগ্রাম-১, খেজুরি-১, কাঁথি-১ ও দেশপ্রাণ ব্লকে মোট পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ সমুদ্র সেনগুপ্ত জানান। এদিন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্যজেলায় কারও পজিটিভ রিপোর্ট আসেনি। পূর্ব মেদিনীপুর স্বাস্থ্যজেলার অধীন তমলুকে একজন, হলদিয়া পুরসভা ও ব্লকে দু’জন করে মোট চারজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। রবিবার সন্ধ্যায় আরও আটজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল। তারমধ্যে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে তিনজন, এগরা-২ব্লকে একজন, মহিষাদল ব্লকে একজন, পটাশপুর-২ব্লকে তিনজন রয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় সবংয়ে ১৭বছর বয়সি একজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়াও শালবনীতে ২৭বছর বয়সি একজন কোবরা বাহিনীর জওয়ান করোনা আক্রান্ত। দু’জনকে শালবনী সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, মোট ১৩জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
এদিকে করোনার জেরে তমলুক শহরে একের পর এক নার্সিংহোম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে। প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য সম্পাদক কানাইলাল দাস বলেন, শহরে যাতে দ্রুত করোনা টেস্টের পরিকাঠামো গড়া হয়, সেজন্য আমরা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করে আবেদন রেখেছি। কারণ, অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের করোনা ধরা পড়ছে। অল্পদিনের ব্যবধানে শহরে দু’টি নার্সিংহোম বন্ধ করতে হয়। আরও দু’টি নার্সিংহোম নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। এই অবস্থায় দ্রুত টেস্টের পরিকাঠামো গড়ে তুললে, এই সমস্যা থেকে কিছুটা মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।