গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদে নতুন করে এক নার্স সহ মোট তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ফরাক্কার আরেকজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। অন্যজন, সূতি-২ ব্লকের পরিযায়ী শ্রমিক। ওই নার্স লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে কাজ করেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, তাঁরা কীভাবে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তা আমরা খতিয়ে দেখছি। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, জেলায় মোট ২৪৩জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ২১৪জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হোম আইসোলেশনে একজন আক্রান্তের চিকিৎসা চলছে। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের কয়েকজন আয়া করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করায় নতুন করে উদ্বেগ বাড়ছে।
নদীয়ার তেহট্ট-১ ব্লকের বেতাই দক্ষিণ জিতপুর এলাকায় এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসার সূত্রে কলকাতায় থাকা ওই ব্যক্তির রিপোর্ট আসার আগেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে পালিয়ে বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এদিন সকাল থেকে গ্রাম শুনশান হয়ে যায়। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার জেরে তিনি ২৯জুন এলাকায় ফিরে আসেন। তাঁকে স্থানীয় স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা তাঁর লালারস সংগ্রহ করেন। রিপোর্ট আসার আগেই তিনি বাড়ি চলে আসেন। বাড়ি থেকেই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। বেতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সঞ্জিত পোদ্দার বলেন, ওই পরিবারের সবাইকে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, তেহট্ট-২ ব্লকের এক মহিলাও আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৩০জুন হরিয়ানা থেকে ফিরে স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। শুক্রবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তাঁকে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওই মহিলার সংস্পর্শে আসা তিনজনকে আইসোলেশনে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যদপ্তর।
অন্যদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা এক ব্যক্তিকে দিয়ে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করল রানাঘাট পুরসভা। এদিন শহরের ১৩নম্বর ওয়ার্ডে সুস্থ হওয়া অসম ফেরত ওই ব্যক্তিকে পুরসভার পক্ষ থেকে সংবর্ধনার পাশাপাশি তাঁর হাত দিয়ে এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করা হয়। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, করোনা নিয়ে সচেতন এবং সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ।