কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। কোনও সরকারি কর্মী, আধিকারিকের অবহেলা থাকলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন এলাকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর আমূল পরিবর্তন এসেছে। বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাতেও গড়ে উঠেছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা গ্রামীণ হাসপাতাল স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। তবে, এর উল্টো চিত্র ধরা পড়ছে রানিগঞ্জের ক্ষেত্রে। ব্লক এলাকাই হোক বা শহর, সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। বাম আমলে রানিগঞ্জ শহরের অদূরে বল্লভপুর পঞ্চায়েতের বেগুনিয়ায় বল্লভপুর গ্রামীণ হাসপাতাল গড়ে উঠেছিল। বিশাল এলাকাজুড়ে এই হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার, ইসিজি, এক্স-রে সহ সব ধরনের পরিষেবাই চালু ছিল। রানিগঞ্জ ব্লকের ছ’টি পঞ্চায়েতের পাশাপাশি শহরের দরিদ্র মানুষ এমনকী ভিন জেলা বাঁকুড়ার বহু রোগী এখানে চিকিৎসা পেতেন। কিন্তু এখন সবই অতীত। ওটি অনেক আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বাকি পরিষেবাও একইরকম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, যেসব চিকিৎসক, নার্সরা রয়েছেন, তাঁদের বেশিরভাগই নিজেদের সুবিধা মতো ডিউটি ভাগ করে নিয়ে ফাঁকি দিচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়রাম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, হাসপাতালের সমস্যার জন্য মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। অ্যানাস্থেটিস্ট না থাকার জন্য ওটি বন্ধ। সুপারও অনিয়মিত ডিউটি করেন। যার জন্য বাকিদেরও একই অবস্থা। আমি বিষয়টি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
তবে, শহরের অবস্থাও একই। টিডিবি কলেজের অদূরে রয়েছে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। যা আলুগড়িয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে পরিচিত। শহরের মধ্যে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৫টি ইন্ডোর শয্যা রয়েছে। কিন্তু, ইসিজি, ওটি, ইউএসজি, এক্সরে কিছুই হয় না। তাই ছোট দুর্ঘটনা হলেও রেফার করে দেওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। তবে, নিজেদের গা বাঁচাতে জনপ্রতিনিধিরা যাই যুক্তি দিন, এলাকার স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন নিয়ে কেউই তেমন সদর্থক ভূমিকা নেননি। তাই দুয়োরানি হয়েই থেকে গিয়েছে রানিগঞ্জ।