পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে খয়রাশোলের আমাজোলার বাসিন্দা শিশির বাউরিকে(৪২) পিকনিকের জন্য ডাকে দলেরই অন্য সহকর্মীরা। সেই রাতে তিনি পিকনিক করতে গেলেও তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। শনিবার সকালে আমাজোলা থেকে কিছুটা দূরে রানিপাথর গ্রামের শেষ প্রান্তে বটগাছের পাশে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিশিরবাবুর মৃতদেহ দেখতে পান বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা থানায় খবর দিলে পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সদর হাসপাতালে পাঠায়। এই ঘটনাতেও খুনের কারণ নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন অনেকেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পিকনিকে কোনও বিষয় নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে। তা থেকেই অশান্তির জেরে খুব কাছ থেকে গুলি করে শিশিরবাবুকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। তাই সেদিনের ওই পিকনিকে থাকা চারজনকে শনিবার রাতের মধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। পুলিস জানিয়েছে, শিশিরবাবুকে খুনের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বুলু বাউরি খয়রাশোল থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার ভিত্তিতে বাকি তিনজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৮ সালে খয়রাশোলে রাজনৈতিক হিংসার জেরে খুন হয়। সেই খয়রাশোলেই ফের গত শনিবার শিশির বাউরির খুনের ঘটনায় আতঙ্ক বেড়েছে। তবে, রবিবার ইলামবাজারের কর্মী সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, এখানে দলের কোনও ব্যাপার নেই। পুলিস তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। কে খুন করেছে তা তদন্তেই বেরিয়ে যাবে।
অন্যদিকে, শনিবার রাতে লাভপুরের ঠিবা পঞ্চায়েতের ভাটরা গ্রামে সহদেব বাগদির(৪৫) গলার নলি কাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিস। ওই ঘটনা নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃতের স্ত্রী এই খুনের ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে আঙুল তুললেও তারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সহদেববাবু ঠিবা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য ছিলেন। শনিবার সকালে তিনি নিয়মমাফিক বাড়ি থেকে জমিতে কাজে গিয়েছিলেন। বিকেলে অবশ্য আর ফেরেননি। বাড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে জমিতে তাঁর গলার নলি কাটা মৃতদেহ জলকাদার সঙ্গে পাওয়া যায়। রবিবার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত হয়। তবে, এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে পুলিস জানিয়েছে। এদিন সহদেববাবুর বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনরা ভিড় করেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রত্যেকেই।
পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, লাভপুরে ওই ব্যক্তিকে খুনই করা হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দলের অনেকেই বলেছেন, সহদেববাবু শান্ত প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁকে খুন করা হবে এমন ভাবা যায়নি।
এদিন মৃতের স্ত্রী ছায়া বাগদি বলেন, কোনও ঝামেলা ছিল না। নিজের চাষের কাজ নিয়েই থাকতেন। কেউ তাঁকে হুমকি দিয়েছিল কি না তাও জানি না। দল তাঁকে জোর করে ভোটে দাঁড় করিয়েছিল। সেই সময় বহু মানুষের উপকার করেছিলেন। সেই আক্রোশ থেকেই বোধহয় শেষ করে দিল।