পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্বপনবাবু বলেন, কচুরিপানার জন্য স্নানের সমস্যা হয়। মশার উপদ্রব বাড়ে। মাছচাষও ভালো হয় না। তাই পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করলাম। মন্ত্রী নই, এলাকার একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই লুঙ্গি পরে জলে নেমেছি। প্রয়োজন হলে আবার সাফাই অভিযান করব।
তবে এদিন জেলার প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী সংগঠনও এই কাজে মন্ত্রীকে সহযোগিতা করেন। কোমর সমান জলে নেমে মন্ত্রীর এই কর্মকাণ্ড দেখতে বাঁশদহ বিলের পাড়ে ভিড় করেন গ্রামবাসীরা। জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে মন্ত্রীর নজরে আসে বিলের বেশ কিছুটা অংশ কচুরিপানায় ঢেকে আছে। তার মধ্যে বড়কোবলা প্রাইমারি স্কুলের স্নানের ঘাটে মহিলারা স্নান করতে নেমে অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তাই এদিন সকালে নিজেই নেমে পড়েন বাঁশদহের জলে। স্কুলের ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ কচুরিপানা সাফাই করেন। পরে সেখান থেকে যান ফরিদপুর পাড়ার স্নান ঘাটে। যে সব জায়গার কচুরিপানা সাফাই করা হয়, সেখানে বাঁশের ব্যরিকেড করে দেওয়া হয়েছে। যাতে পুনরায় সেখানে কচুরিপানা জমতে না পারে।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি রবিবার এলাকায় বনসৃজন ও জঙ্গল সাফাইয়ের কাজ করছি। তিনটি রবিবার বিলের পাড়ে ৩১০টি সুপারি গাছ বসিয়েছি। কিছুদিন আগে এখানকার ঘাটে স্নান করার সমস্যার বিষয়টি নজরে আসে। তাই ওই কচুরিপানা জলে নেমে আমরাই পরিষ্কার করে দেব বলে ঠিক করি। সেই মতো এদিন কিছুটা সাফাইয়ের কাজ করেছি। এরপর থেকে প্রতি রবিবার বাকি কচুরিপানা সাফ করে ফেলব। যাঁরা ওই ঘাট ব্যবহার করছেন, তাঁরা যখন সাফাই করতে পারছেন না, তখন আমিই সেটা করে দেব। তাতে যদি সকলের বোধদয় হয়।
প্রায় এক বছর ধরে মন্ত্রীর উদ্যোগে এলাকার জঙ্গল সাফাই হচ্ছে। রবিবার সকাল হলেই শুরু হয় জঙ্গল সাফাই অভিযান। কোনও কোনও জায়গায় বনসৃজন চলে। শ্রীরামপুর গ্রামীণ হাসপাতাল প্রচুর ভেষজ চারাগাছ লাগিয়েছেন মন্ত্রী। আবার নিজের হাতে কাস্তে তুলে নিয়ে ঝোপজঙ্গল সাফাই করছেন তিনি। সব ক্ষেত্রেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে জনমজুরের বেশে। টানা তিন মাস ধরে ওই হাসপাতাল চত্বরে সাফাই অভিযান চালান। মন্ত্রীর আক্ষেপ, ওই হাসপাতালের আবাসনগুলিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা থাকেন। তাঁরা যদি উদ্যোগী হয়ে সপ্তাহে একদিনের জন্য জঙ্গল সাফাই করতেন তাহলে ওখানে এত বড় জঙ্গল তৈরি হতো না। এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে সাফাই অভিযানে ছিলেন জেলার প্রকৃতি ও পশুপ্রেমী সংগঠনের ৪০জন সদস্য।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ: রবিবার বিকেলে ধাত্রীগ্রামের গ্রাম কালনায় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে শতাধিক কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। মন্ত্রী তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এরকম কোনও যোগদানের কথা তাদের জানা নেই।