কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আসানসোল ডিভিশনের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার চন্দ্রমোহন মিশ্র বলেন, এই থার্মাল ক্যামেরা ভিড় থেকে উপসর্গযুক্ত রোগীকে চিহ্নিত করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা নেবে।
আসানসোল পূর্ব রেলের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন। রাজধানী থেকে শতাব্দী সব ধরনের ট্রেনই থামে এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে। করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রীর ভিড়ে গমগম করত স্টেশন। যদিও এখন এসব অতীত। বর্তমানে যে সাত জোড়া ট্রেন যাতায়াত করছে তার অধিকাংশর এখানে স্টপেজ থাকলেও খুব কম যাত্রী ওঠানামা হচ্ছে। তবে, জীবন-জীবিকার টানে মানুষকে বাইরে বের হতেই হবে। তাই ফের ভিড় জমবে আসানসোল স্টেশনে। তখনও যাতে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করা যায় তারই ব্যবস্থা করল রেল।
আসানসোল স্টেশনের মূল প্রবেশপথে বসানো হয়েছে থার্মাল ক্যামেরা। চার মিটারের মধ্যে কোনও যাত্রী এলেই তাঁর দেহের তাপমাত্রা নির্ণয় করে নিচ্ছে এই বিশেষ মেশিন। একসঙ্গে ১৫ জন বাসিন্দার দেহের তাপমাত্রা সংগ্রহ করতে পারে এই অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশ। ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে হাতে নাতে। ক্যামেরার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৪৯ ইঞ্চির এলইডি স্ক্রিন। কারও তাপমাত্রা সন্দেহজনক হলে সেখানে তা চিহ্নিত হয়ে যাচ্ছে। লাল আলো সহ অ্যালার্ম বেজে উঠছে। তবে, যদি কোনও যাত্রী মাস্ক না পরে স্টেশনে ঢুকতে যান, এই ক্যামেরার নজর থেকে তিনিও ছাড় পাবেন না। তৎক্ষণাৎ বেজে উঠবে অ্যালার্ম। চার টিবি পর্যন্ত মেমরিও রয়েছে ওই ক্যামেরায়। যাতে আগের ছবিও সংগৃহীত থাকবে।
রেলের দাবি, এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ক্যামেরা ব্যবহারের একাধিক সুবিধা রয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হলে আসানসোলের মতো ব্যস্ততম স্টেশনে থার্মাল গান দিয়ে প্রত্যেকের আলাদা করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে অনেক সময় লাগবে। এর ফলে অনেকের ট্রেন মিসও হয়ে যেতে পারে। এছাড়া এই মেশিনের সাহায্যে সরাসরি কোনও মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে পরীক্ষা করতে হচ্ছে না। এর ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরাও স্বস্তি পাবেন।
পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে ঢেলে সাজানো হচ্ছে আসানসোল স্টেশনকে। তাই সেখানে বসবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার মেশিন। যার মাধ্যমে স্টেশনে ঢোকা ও বের হওয়ায় সময়ে বিনা স্পর্শেই সেনসরের মাধ্যমে হাতে স্যানিটাইজার পাবেন যাত্রীরা। যাতে তাঁর হাত জীবাণুমুক্ত হয়। এই মেশিনটি দুর্গাপুর, মধুপুর ও জসিডিতেই বসতে চলেছে বলে রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিনের আদলে আসানসোলে বসছে মাস্ক ভেন্ডিং মেশিনও। সেখানে ১০ টাকার বিনিময়ে ত্রিস্তরীয় মাস্ক মিলবে। স্যানিটাইজারের পাশাপাশি পিপিই কিটও পাওয়া যাবে। তবে এটি সম্পূর্ণ রেলের নিজস্ব কর্তৃত্ব নয়। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এটি করা হচ্ছে।
আসানসোল ডিভিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, আসানসোলে মাস্ক ভেন্ডিং মেশিন বসানোর পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজিং মেশিন বসছে। ৫০ টাকায় ২০০ মিলিলিটার স্যানিটাইজার পাওয়া যাবে। যদিও এই মেশিনটি আরও তিনটি স্টেশনে বসানো হচ্ছে।