সংবাদদাতা, রামপুরহাট: মুরারই-১ ব্লকের চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুললেন ডুরিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দারা। তাঁরা বিডিওকে ই-মেল মারফত সেই অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, উম-পুনে গ্রামের অনেকের বাড়ির চাল উড়ে গেলেও তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি। অথচ প্রধানের শাশুড়ি ও এক সুপারভাইজার ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। যদিও প্রধান সোনালি মাল বলেন, ২০জন আবেদনকারীর মধ্যে গ্রামের চারজন ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। তাঁর মধ্যে আমার শাশুড়ি রয়েছেন। বনিবনা না হওয়ায় প্রায় একবছর ধরে তিনি আলাদা থাকেন। উম-পুনে তাঁর টালি ও অ্যাসবেসটসের চালের বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রধান হওয়ার অনেক আগে আমি বাংলা আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছি। সেই বাড়িতে শাশুড়িকে থাকার জন্য বললেও তিনি রাজি হননি। আমার পক্ষেও বাড়ি তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। স্বামী দিনমজুর। আমার বদনাম করতে বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
যদিও অভিযোগ পেয়ে শনিবার সরেজমিনে গ্রামে তদন্তে আসেন বিডিও নিশীথভাস্কর পাল। তিনি বলেন, প্রধানের শাশুড়ি হলে কী হবে, তিনি যদি যোগ্য হন তাহলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার যোগ্য। বাড়িতে গিয়ে দেখেছি, অত্যন্ত কষ্ট করে তিনি দিনযাপন করছেন। উম-পুনে ক্ষতি হওয়া টালি ও অ্যাসবেসটসের চাল দিয়ে জল পড়ছে। গোটা ঘর স্যাঁতসেঁতে। বনিবনা না হওয়ায় ছেলের সঙ্গেও থাকতে চাইছেন না। এক সুপারভাইজারেরও অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁর বাড়ি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। তিনি বলেন, ওই গ্রামের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরাই উম-পুনের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। তবুও যেহেতু স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে, সেই কারণে প্রধানকে ডাকা হয়েছে।