পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
শালবনী হাসপাতালের সুপার অভিষেক মিদ্যা বলেন, আক্রান্ত চিকিৎসক, নার্সদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাঁদের সকলের নমুনা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শালবনী করোনা হাসপাতালে আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক ছাড়াও রয়েছেন একজন সিস্টার ইনচার্জ এবং দু’জন নার্স। এই হাসপাতাল চালু হওয়ার সময় থেকেই ৫৪ বছর বয়সি ওই সিস্টার ইনচার্জ এখানে রয়েছেন। তিনি খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে এই হাসপাতালে এসেছেন। আক্রান্ত চিকিৎসকের বয়স ৬০ বছর। এছাড়াও ৩৬ ও ২৭ বছর বয়সি দুই নার্স রয়েছেন। ১ জুলাই আক্রান্ত চিকিৎসক ও ওই দুই নার্স হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন। এতদিন তাঁরা ভর্তি হওয়া করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা করছিলেন। নিয়ম মেনে এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা নেওয়া হয়েছিল। তাতেই একসঙ্গে চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এছাড়া শালবনীর কোবরা বাহিনীর ২১ বছরের এক সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলায়। রবিবার তাঁকে শালবনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খড়্গপুর রেলশহরে ফের সাতজন আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ছ’জনের বাড়ি খড়্গপুরে। এছাড়াও একজন প্রসূতি আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি খড়্গপুর-১ ব্লকের কলাইকুণ্ডা বায়ুসেনার কোয়ার্টারে থাকেন। স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়্গপুর রেল হাসপাতালে জ্বর নিয়ে এক আরপিএফ জওয়ান ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি সাউথ সাইড আরপিএফ বারাকে থাকতেন। রেল হাসপাতালেই তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছিল। শনিবার তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এছাড়া খড়িদা কুমোরপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মী রেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর করোনা ধরা পড়েছে।
কলাইকুণ্ডার এক বায়ুসেনা কর্মীর স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে রেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। বায়ুসেনা কর্মী ও তাঁর মেয়েকে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খড়্গপুর শহরের ভবানীপুর এলাকায় একটি বাড়িতে এক রাজমিস্ত্রি কাজ করতে গিয়েছিলেন। বাড়ির কর্তা ও রাজমিস্ত্রির নমুনা নেওয়া হয়েছিল। দু’জনের রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে। রেল শহরের ওল্ড সেটেলমেন্ট এলাকায় কানপুর থেকে অনুষ্ঠানবাড়ি সেরে মা-মেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তাঁদের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। দু’জনের রিপোর্টই পজিটিভ এসেছে। প্রত্যেককে শালবনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মেদিনীপুর আয়ুষ হাসপাতালে উপসর্গ নিয়ে ভর্তি থাকা এক যুবকের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্তের বয়স ২১ বছর। তাঁর বাড়ি গুড়গুড়িপাল থানার কুয়াবুড়ি এলাকায়। তিনি গত ২ তারিখ এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ৩ তারিখ তাঁর ও তাঁর স্ত্রী’র নমুনা নেওয়া হয়েছিল। যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
হাসপাতালের সুপার নন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওই যুবককে আপাতত এই হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। রবিবার ফের ওই মহিলার নমুনা নেওয়া হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আর ওই যুবককে শালবনী হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।