রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
সংবাদদদাতা, রানাঘাট: পুরনো বাইক কেটে ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করে তাতে ভ্রাম্যমাণ ভুট্টার দোকান দিয়ে জীবিকা অর্জন করছেন রানাঘাটের এক যুবক। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের বহু মানুষ কর্মহীন হয়েছেন। অনেকের আবার রোজগার থাকলেও আয় অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়ে রানাঘাট থানার রূপশ্রী পল্লির বাসিন্দা নীলকমল দেবনাথেরও মাস তিনেক আগে কাজ চলে যায়। আগে তিনি একটি আইসক্রিম কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকে রোজগার করা টাকা দিয়ে সংসারে ব্যয় করার পাশাপাশি তিনি শখ করে একটি পুরনো বাইক কিনেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পরিস্থিতির বদল হয়ে করোনা আবহে দীর্ঘকয়েক মাস লকডাউন থাকার কারণে আইসক্রিমের চাহিদা ঠেকে তলানিতে। ফলে কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েন নীলকমল। এদিকে দীর্ঘদিন বাড়িতে বসে থাকায় জমানো টাকা খরচ করে সংসার সেভাবে আর চলছিল না। তাই অবশেষে নীলকমল বাধ্য হয়ে তাঁর নিজের শখের কেনা পুরনো বাইকটি কেটে নিজেদের ভ্যান রিকশর সঙ্গে জুড়ে ফেলে একটি ভ্রাম্যমাণ দোকান তৈরি করে ফেলেন। সেই দোকানে ভুট্টা নিয়ে এখন তিনি কুপার্স পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভুট্টা বিক্রি করেন। এই কাজে ওই যুবককে সহযোগিতা করেন তাঁর মা সাবিত্রী দেবনাথ। লকডাউনের ফলে রোজগারহীন পরিবারে ফের নতুন করে রোজকার শুরু হওয়াতে কিছুটা স্বস্তিতে দেবনাথ পরিবার। লকডাউনের কর্মহীনতায় নীলকমলের রোজগারের উপায় হয়ে ওঠে তাঁর শখের বাইকটি। তাঁর এমন অভিনব উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারাও। নীলকমল বলেন, কাজ না থাকার কারণে সংসার চালানো কঠিন হয়ে উঠেছিল। তাই নিরুপায় হয়ে আমার পুরাতন বাইক গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে কেটে একটি ইঞ্জিনভ্যান তৈরি করি। শখ দিয়ে তো আর পেট চলবে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে রোজগার ঠিকমত শুরু হলে আবার বাইক কেনা যাবে। নীলকমলের মা বলেন, কাজকর্ম সবকিছুই বন্ধ। কিন্তু সংসার তো চালাতে হবে। তাই ছেলের সঙ্গে আমিও দোকানে সহযোগিতা করি। এখান থেকে যা রোজগার হয়, তাতে কোনও রকমে সংসার চলে যাচ্ছে।
