বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পাদুয়া গ্রামের এক ব্যক্তি কয়েকদিন আগেই বোমা বাঁধার জন্য অগ্রিম দিয়ে আসে। সেইমতো তারা শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রামে চলে আসে। রাত সাড়ে দশটা থেকে তারা বোমা বাঁধা শুরু করে। বেশ কিছু বোমা তৈরি করে তাদের রাতেই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাত ১১টার পর হঠাৎই বিস্ফোরণ হয়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, তাদের সঙ্গে আরও কেউ ছিল। তারা হয়তো কয়েকটি সূতলি বোমাও তৈরি করছিল। এই বোমা বাঁধার সময় একটু অসাবধান হলেই বিস্ফোরণ হয়ে যায়। সেরকমই কিছু হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন।
তবে কেন তাদেরকে ভাড়া করে এনে বোমা বাঁধানো হচ্ছিল তা নিয়ে পুলিস নিশ্চিত নয়। অভিযুক্ত বাড়ির মালিক রাতেই এলাকা থেকে চম্পট দেয়। তার স্ত্রীকে পুলিস জেরা করেছে। প্রাথমিকভাবে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সম্পত্তি নিয়ে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার এক আত্মীয়ের দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলছিল। সম্প্রতি তা মিটেও যায়। তারপরও ওই আত্মীয়কে শিক্ষা দিতে বোমা তৈরি করাতে পারে। যদিও তদন্তকারীরা এখানেই থেমে না থেকে এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন। পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘরের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ বারুদ মজুত ছিল। তারা কয়েকটি বোমা বাঁধার পর বিস্ফোরণ হয়। সেকারণেই ব্যাপক জোরে আওয়াজ হয়েছে। বিস্ফোরণে বাড়ির মালিকও জখম হয়েছে। ওই অবস্থাতেই সে চম্পট দেয়। বিস্ফোরণের জেরে কয়েকটি ছাগলও জখম হয়েছে। ঘটনার সময় বাড়ির মালিক বা তার পরিবারের লোকজন বাইরে ছিল বলে তদন্তকারীদের অনুমান। সেকারণেই তারা অল্পবিস্তর জখম হলেও প্রাণে বেঁচে গিয়েছে।