গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সিএলডব্লুর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক মন্তার সিং তেজস ইঞ্জিন নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে তিনি বলেন, সব রকম স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মেনে কর্মীরা এখানে কাজ করছেন। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এখানে রেল ইঞ্জিন তৈরি হচ্ছে। দেশের প্রথম ইলেক্ট্রিক লোকোমোটিভ প্রস্তুতকারক সিএলডব্লু এখনও উৎপাদনের নিরিখে বিশ্বের বৃহত্তম রেল ইঞ্জিন কারখানা। ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষে ৪৩১টি ইঞ্জিন প্রস্তুত করে লিমকা বুকে নাম তুলেছিল চিত্তরঞ্জন দাসের নামাঙ্কিত এই কারখানা। বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন বা দ্রুতগতির রেল ইঞ্জিন, দেশকে দিশা দেখিয়েছে বিলগ্নিকরণের আশঙ্কায় থাকা কারখানার শ্রমিকরা। এবার গৌরবের আরও এক পালক যোগ করতে চলেছে সিএলডব্লু।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই দেশবাসীকে বুলেট ট্রেন চাপার স্বপ্ন দেখিয়েছিল। তা বাস্তবায়িত না হলেও হাইস্পিড ট্রেন তেজস এসেছে। কারখানার সূত্রে জানা গিয়েছে, এতদিন যাত্রীবাহী ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ইঞ্জিন ছিল ৬ হাজার হর্সপাওয়ারের। একমুখেই ইঞ্জিন লাগানো থাকত। তাই দিশা পরিবর্তন করতে হলে ইঞ্জিন পরিবর্তন করতে হতো। কিন্তু, এক্ষেত্রে তা করতে হবে না। ট্রেনটির দুই প্রান্তে দু’টি ইঞ্জিন থাকবে। প্রতিটি সাড়ে পাঁচ হাজার হর্সপাওয়ারের। ৫২ কামরার ট্রেন টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে এই ইঞ্জিনের। যদিও এনিয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। এমনকী এই ইঞ্জিন তৈরির ছবি তুলে শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে দুই কর্মীকে।
পাশাপাশি অন্যান্য ইঞ্জিন প্রস্তুতিতেও বিশেষ সাফল্য পেয়েছে এই কারখানা। লকডাউনের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সিএলডব্লুতেও। আনলক-১ পর্বে শর্তসাপেক্ষে কম কর্মী নিয়ে খুলেছে কারখানা। তাতেই জুন মাসে ২১টি ইঞ্জিন প্রস্তুত করে ফেলেছে সিএলডব্লু। এমনকী এর ডানকুনি ওয়ার্কশপেও সতর্কতা নিয়ে ১৭ জুন থেকে কাজ শুরু হয়েছে। গত ২ জুলাই তারা এই অর্থবর্ষের প্রথম রেল ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছে।-ফাইল চিত্র