পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিষয়টি নিয়ে এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে ডিপোর আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এসবিএসটিসির বোর্ড ডিরেক্টর জ্যোৎস্না মাণ্ডি বলেন, এক চালক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত নতুন করে গাড়ি চালানো সম্ভব নয়। রিপোর্ট আসার পরেই ফের পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হবে।
প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ ডিউটি করে কলকাতা থেকে ফেরার পর বাঁকুড়া ডিপোর এক বাসচালক করোনা আক্রান্ত হন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুক্রবার গোটা স্ট্যান্ড স্যানিটাইজ করে ১২ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিনও আরও ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। ফলে কর্মী সঙ্কটে এদিন ডিপো থেকে ভোরে দু’টি বাস ছেড়ে যাওয়ার পর আর কোনও বাস ছাড়েনি।
এদিন বিক্ষোভরত কর্মীরা বলেন, করোনা সংক্রমণের ভয়ে আমাদের অনেকেই কলকাতায় ডিউটি করতে যেতে চাইছিলেন না। ওই সময় কর্তৃপক্ষ বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে কাজে যেতে বাধ্য করেছিল। বলা হয়েছিল, কেউ আক্রান্ত হলে কর্তৃপক্ষ সমস্ত ব্যবস্থা করবে। কিন্তু, এখন আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়ে দায় এড়াতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। আমাদের অধিকাংশ কর্মীর বাড়িতেই আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে থাকার মতো জায়গা নেই। তাছাড়া আমাদের পরিবার ও প্রতিবেশীরাও তো আক্রান্ত হতে পারে। গ্রামবাসীরা প্রতিবাদও করতে পারে। তাই আমাদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখার দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভের পর কর্তৃপক্ষ সেই ব্যবস্থা করেছে।