কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
লকডাউন ঘোষণার পর মে মাসের মাঝামাঝি ভিনরাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেন। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। জুনমাসের শেষদিকে নতুন করে আর কোনও পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফেরেননি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ৫৪ হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের পেশাগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিনরাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার সময় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁদের কাছ থেকে পেশাগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে ৫০শতাংশ শ্রমিকই গয়না তৈরির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সোনা, হীরে, তামার অলঙ্কার তৈরির সঙ্গে তাঁরা যুক্ত ছিলেন। ২০শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক ভিনরাজ্যে দিনমজুরের কাজ করতেন। বাকি ৩০শতাংশের মধ্যে ভিনরাজ্যে হোটেলের বিভিন্ন ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ছ’শতাংশ। জরি শিল্পে চার শতাংশ, টেলারিংয়ের কাজ করতেন চার শতাংশ। এছাড়া ভিনরাজ্যে বিভিন্ন কারখানায় তিন শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক দক্ষ কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। আর তিন শতাংশ শ্রমিক এমব্রয়ডারির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্লাস্টিকের সামগ্রী, স্টিলের আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিন সামগ্রী তৈরি সহ নানা ধরনের কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ১০শতাংশ পরিযায়ী শ্রমিক। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ইচ্ছুকদের জবকার্ড করে দেওয়া হয়েছে। ১০০দিনের কাজের সঙ্গে বহু পরিযায়ী শ্রমিককে যুক্ত করা হয়েছে। এখনও বহু পরিযায়ী শ্রমিক এই প্রকল্পের কাজ করছেন। তবে, অনেকে এই কাজ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্জন বেরা বলেন, আমাদের পঞ্চায়েতে ভিনরাজ্য থেকে ১৫০জন পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছেন। তারমধ্যে ৮০জন জবকার্ড করেছেন। তাঁরা ১০০দিনের প্রকল্পে কাজও করছেন। বাকিরা কেউ জবকার্ড করার আগ্রহ দেখাননি। পঞ্চায়েতে এসে অন্য কাজের বিষয়েও আগ্রহ দেখাননি। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সোনার শিল্পী, ইলেক্ট্রনিক্সের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখানে মোটা টাকা রোজগার করতেন। ১০০দিনের প্রকল্পে তাঁরা কাজ করতে আগ্রহী নন। ভিনরাজ্যে তাঁরা যা কাজ করতেন সেইমতো এখানে কাজের ব্যবস্থা করতে পারলে তাঁরা হয়তো আর ভিনরাজ্যে ফিরে যাবেন না।