পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা এক বৃদ্ধের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। ওই বৃদ্ধের বাড়ি কৃষ্ণনগর-১ ব্লকের দোগাছি এলাকায়। তিনি চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি কলকাতায় গিয়েছিলেন। এরপর ফের অসুস্থ হলে তাঁকে শক্তিনগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছু উপসর্গ দেখা যাওয়ায় আইসোলেশনে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতাল সুপার শচীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, ওই ওয়ার্ডে সমস্ত সতর্কতা অবলম্বন করেই চিকিৎসক-নার্সরা কাজ করেন। ফলে সমস্যার কিছু নেই। আক্রান্তকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য রোগীদেরও আতঙ্কের কিছু নেই।
শান্তিপুরে আক্রান্ত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার পুরসভার ২০নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। সোমবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শান্তিপুর থানার সকল পুলিসকর্মীর সঙ্গে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারেরও সোয়াব টেস্ট করা হয়েছিল। তবে উপসর্গ না থাকায় ওই যুবক বিভিন্ন জায়গায় ডিউটি করায় স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শান্তিপুর পুরসভার প্রশাসক অজয় দে বলেন, সিভিক ভলান্টিয়ার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি চিন্তার। ওই যুবক কোথায় ডিউটি করেছেন এবং কার কার সংস্পর্শে এসেছেন দেখা হচ্ছে। তবে কীভাবে ওই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা সবার সোয়াব টেস্ট করা হবে বলে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এদিকে তেহট্ট মহকুমায় তিন মহিলা সহ ফের চারজন আক্রান্ত হয়েছেন। সবার বাড়ি তেহট্ট-১ ব্লকের নাটনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগাখালি এলাকায়। কয়েকদিন আগে তাঁরা একসঙ্গে পাঁচজন হরিয়ানা থেকে ফিরেছেন। তাঁরা সকলেই স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে ছিলেন। তাঁদের সোয়াব টেস্ট হওয়ায় চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এদিন সকালে তাঁদের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের আক্রান্ত মহিলা হরিয়ানা থেকে ফিরেছেন। স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে থাকায় এলাকা সিল করা হয়নি।
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে কৃষ্ণনগরের কোভিড হাসপাতাল থেকে সুস্থ হওয়া এক যুবক এবং এক তরুণীকে ছাড়া হয়। জেলাশাসক বিভু গোয়েল সহ জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের অন্যান্য কর্তারা ফুল ও করতালি দিয়ে তাঁদের সংবর্ধনা জানান। পরে জেলাশাসক বলেন, এই হাসপাতাল থেকে এই প্রথম দু’জন ছাড়া পেলেন। ওঁদের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্যই এখানে এসেছিলাম। জেলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। সুস্থ হয়ে ওঠা তরুণী বলেন, এখানে খুব ভালো চিকিৎসা পেয়েছি।
মঙ্গলবার মুর্শিদাবাদে তিনজন আয়া সহ মোট পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আয়ারা লালবাগ মহকুমার একটি হাসপাতালে কাজ করেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর জানিয়েছে, জেলায় মোট ২১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তারমধ্যে ১৯৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এদিনও পাঁচজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে এখনও পর্যন্ত জেলার চার বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। দু’জন জেলাতেই চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। বাকি দু’জন জেলার বাইরে অন্যত্র চিকিৎসা হওয়ার সময় মারা গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, সুস্থ হয়ে ওঠা যুবক-যুবতীদের নিয়ে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন বিশেষ ক্লাব তৈরি করেছে। তাঁরা আক্রান্তদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করবেন। রাজ্যের অন্য জেলাগুলিতেও এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন।