বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
লাভপুর ব্লকের কুরুন্নাহার ও ঠিবা এই দুই পঞ্চায়েতের মধ্য দিয়ে গিয়েছে লাঙলহাটা থেকে ঠিবা গ্রাম পর্যন্ত রাস্তাটি। এই রাস্তার হাল অত্যন্ত খারাপ। এই রাস্তার মধ্যে শীতলগ্রাম, লাঘাটা, বাগসিনা, ভাটরা, মেলা সহ বেশকিছু গ্রাম রয়েছে। ওই গ্রামগুলি থেকে এই রাস্তা ব্যবহার করে লাভপুর, বোলপুর, নানুর সহ অন্যত্র যাতায়াত করা যায়। অন্যদিকে এই রাস্তা ব্যবহার করে খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী মুর্শিদাবাদ জেলায় যাওয়া যায়। এই রাস্তার মধ্যবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় দু’বছর ধরে ভোগান্তি চলছে। বর্ষাকালে অসুবিধা আরও বাড়ে। পিচ উঠে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে জল জমে অনেক সময়ই দুর্ঘটনাও ঘটছে। ওই রাস্তায় প্রায় ১৪টি বাস চলাচল করে। পাশাপাশি ওই এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজপড়ুয়াদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। মুমূর্ষু রোগী বা গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে খানাখন্দে ভরা এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত কার্যত দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। রাস্তা সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ভ্রুক্ষেপ করা হয়নি। তাঁদের দাবি, যত শীঘ্র সম্ভব রাস্তা সংস্কার করা হোক।
কুরুন্নাহার ও ঠিবা পঞ্চায়েতের দুই অঞ্চল সভাপতি বলেন, গ্রামবাসীদের এই অসুবিধার বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। নতুনভাবে রাস্তা সংস্কার করার জন্য জেলা পরিষদে জানানো হয়েছে। বীরভূম জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, এবছরের প্রথমে ওই রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্য মাপজোক শুরু হয়েছিল। কীভাবে রাস্তা তৈরি হবে তার নকশাও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, লকডাউন থাকায় নির্মাণকাজ শুরু করা যায়নি। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এলাকার মানুষ নতুন রাস্তা উপহার পাবে।