বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
পুলিস চুরির ৪৮ঘণ্টার মধ্যে কিনারা করল। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পেশাদার চোরের কায়দায় চুরি করা হয়েছে। ওই যুবক রেনকোট পরে এসেছিল। মাঝেতে যাতে ছাপ না লাগে সেজন্য জুতো প্লাস্টিক দিয়ে মোড়ানো ছিল। হাতে গ্লাভস ও মুখে মাস্কও পরেছিল ধৃত যুবক। বিধায়কের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথম দিকে কিছুই বুঝতে পারেনি পুলিস। পরে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা হয়। চুরি হওয়ার সময় একটি বাইক বেতাই বাজারের দিকে যায়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজে হাঁটাচলা দেখে সায়কের উপর সন্দেহ হয় পুলিসের। পুলিস সিসি ক্যামেরার আগের কিছু ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখতে পায়, ওই কার্যালয়ের চাবি রাখার জায়গায় গিয়েছিল সায়ক। মিনিট পাঁচেক পর বেরিয়ে আসে। এরপর আবার একটি কাটারি নিয়ে যায়। তারপর হাতে গামছার উপর থেকে কোনও একটা জিনিস পকেটে ঢোকায়। পুলিস তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে সে রাতে বাড়িতে ঘুমিয়েছিল বলে জানায়। যদিও টানা জেরায় ভেঙে পড়ে সে। চুরির কথা স্বীকার করে নেয়। তারপরই পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে ওই যুবক চুরি করে টাকা প্রথমে বেতাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। শনিবার পুলিসের তৎপরতা দেখে সে ওই টাকা একটি পরিত্যক্ত হাসপাতালের কাছে পাটের জমিতে প্যাকেটবন্দি করে পুঁতে দেয়। পুলিস প্রথমে তাকে সেখানে নিয়ে গেলেও সে জায়গার হদিশ দেয়নি। পরে মহকুমা পুলিস আধিকারিক শ্যামল মণ্ডল সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক ওই যুবককে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। এরপর মাটি খুঁড়ে ওই টাকার প্যাকেট উদ্ধার করে পুলিস। বিধায়ক বলেন, ওর বাবা বেশ কিছুদিন আগে মারা যায়। এর আগে ব্যবসা করার জন্য ওকে আলমারি থেকে টাকা দিয়েছিলাম। আমার বিধায়ক ভাতা সহ সব টাকাই ওই আলমারিতে থাকত। লোভের বশে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে মনে হয়। ও এই কাজ করেছে ভাবতেই পারছি না।