বিদ্যার্থীদের কোনও বৃত্তিমূলক পরীক্ষায় ভালো ফল করবে। বিবাহ প্রার্থীদের এখন ভালো সময়। ভাই ও বোনদের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রাজ্যে মোট ন’লক্ষ ২৩ হাজার ৫০৫টি বাড়ি তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে চার লক্ষ ৮৬ হাজার ৮১০টি রেজিস্টার হয়ে গিয়েছে। তিন লক্ষ ২৮ হাজার ছ’টি জিও ট্যাগ হয়েছে। তিন লক্ষ ৩১ হাজার ৫১১টি বাড়ি অনুমোদিত হয়েছে। ৬২ হাজার ৩৫৯ জন উপভোক্তার অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে। বাংলা আবাস যোজনায় সব জেলাতেই কাজ শুরু হয়েছে। তবে অনুমোদন পাওয়ার পরও প্রথম কিস্তির টাকা না আসায় বহু বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়নি। অবশ্য সমস্তরকম প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলিতে অনেক বেশি সংখ্যায় বাড়ি তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ ২৪পরগনায় ইতিমধ্যেই ৬২ হাজার ৩১৯টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরে ৩৩ হাজার ৩৫০, মালদহে ৩৩ হাজার ৭২, উত্তর ২৪ পরগনায় ২৪ হাজার ৭৭২, বীরভূমে ১৫ হাজার ৭২৭, নদীয়ায় ১৪ হাজার ৭৬৬টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে। এক আধিকারিক বলেন, বাড়ি তৈরির জন্য জোরকদমে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু টাকা আসতে দেরি হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে।
অন্যদিকে, বাংলা আবাস যোজনায় অনিয়ম রুখতে মুর্শিদাবাদে আধিকারিকরা এলাকায় ঘুরে কাজের খতিয়ান দেখছেন। এছাড়া কাটমানি না দেওয়ার জন্য প্রচারও করা হয়েছে। লিফলেট বিলি করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হয়েছে। তারপরও বিভিন্ন এলাকা থেকে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একশ্রেণীর প্রতারক চক্র উপভোক্তাদের ভুল বুঝিয়ে টাকা হাতাচ্ছে বলে অভিযোগ। প্রশাসনের দাবি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেলেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অতীতে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উপভোক্তাদের থানায়ও অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে আগের তুলনায় এখন অনিয়মে কিছুটা রাশ টানা গিয়েছে বলে আধিকারিকদের দাবি।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানে ৬৩ হাজার ৩৬৪টি বাড়ি তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে সাত হাজার ৩৩টি রেজিস্টার হয়েছে। তিন হাজার ১২২টি বাড়ির জিইও ট্যাগ হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরে এক হাজার ৮৩৬টি বাড়ি রেজিস্টার হয়েছে। এক হাজার ৫৬৬টি বাড়ির জিইও ট্যাগ হয়েছে। পুরুলিয়ায় ৫৭ হাজার ৩৭৪টি বাড়ি তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে ২১ হাজার ৫৬১টি বাড়ি রেজিস্টার হয়েছে। দশ হাজার ২২৯টি বাড়ির জিইও ট্যাগ হয়েছে। ১৮ হাজার ৩৩৫টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দু’হাজার ৯৫৮ জন উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে গিয়েছেন। আধিকারিকদের দাবি, মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জেলাগুলিতে বহু নির্মাণ শ্রমিক বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে এসেছেন। দক্ষ শ্রমিকদের এই প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে আরও বহু বাড়ি তৈরির অনুমতি পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকলে ওই বাড়িগুলি নির্মাণের কাজ শুরু হবে। তাতে আরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিককে কাজ দেওয়া হবে।