বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য আক্রান্তরা সামশেরগঞ্জ, বেলডাঙা-১, ও ২ ব্লক, সূতি, এবং জলঙ্গির বাসিন্দা। তাঁরা বাইরের রাজ্য থেকে ফিরেছেন। বেলডাঙা-১ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বনতোষ ঘোষ বলেন, ডহরপাড়া এলাকার এক যুবক মুম্বই থেকে ফিরে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেরাজ্য থেকে আসার পর তিনি গ্রামের স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে বাড়ি যান। তারপরই তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। জলঙ্গির জেলা পরিষদ সদস্য রফিকা সুলতানা বলেন, সাগরপাড়া এলাকার আক্রান্ত যুবকও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরেছেন। তাঁকে একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরই তাঁকে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সামশেরগঞ্জের হাসিমপুর এলাকার আক্রান্ত যুবকও মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সূতি এলাকাতেও দু’জন ভিনরাজ্য থেকে ফিরে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের বুলেটিন অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে ৩৫হাজার ১০৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। ১ হাজার ৭২১ জন বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরে এসেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৯৮জন সুস্থ হয়ে ওঠায় কোভিড হাসপাতালে ১৯জনের চিকিৎসা চলছে। জেলায় এখনও পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরছেন।
ভগবানগোলার-২ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আব্দুস সবুর বলেন, চেন্নাই থেকে ফিরে শুক্রবার ইসুরপাড়া এলাকার একজন আক্রান্ত হয়েছেন। বাইরে থেকে এখনও অনেকে ফিরে আসছেন। তবে আমাদের এলাকায় সচেতনতা বাড়ানোর জন্য লাগাতার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, প্রতিদিনই লালারস পরীক্ষার জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আক্রান্তদের কোভিড হাসপাতালে এনে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় আরও একটি ১০০বেডের কোভিড হাসপাতাল তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেলে নতুন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করা হবে। তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।