কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, এদিন বাসের মালিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাদের বেশ কিছু দাবি মানা হয়েছে। তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যেহেতু আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না, তাই এনিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, আমরা জেলার ১০টি বড় বাস টার্মিনাসকে জীবাণুমুক্ত করে দেব। বাসগুলিকেও স্যানিটাইজ করা হবে।
দীর্ঘদিন পর পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে চলেছে। করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে মার্চের চতুর্থ সপ্তাহ থেকেই জেলায় বন্ধ হয়ে যায় বেসরকারি বাস পরিষেবা। দু’মাস লকডাউন চলার পর সরকার শর্ত সাপেক্ষে বাস চালানোর অনুমতি দিলেও ক্ষতির কথা চিন্তা করে বাস নামায়নি মালিকপক্ষ। অন্যান্য জেলায় পরীক্ষামূলকভাবে বাস চালানো হলেও আসানসোল, দুর্গাপুর, রানিগঞ্জ, বার্নপুরের মতো শহরাঞ্চলে বেসরকারি বাসের চাকা নড়েনি। তাই আনলক-১ পর্যায়ে যখন দোকানপাট খুলে গিয়েছে, সরকারি অফিসে হাজিরাও বাড়ছে, তখন পরিবহণ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় যাতায়াতে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন নিত্যযাত্রী থেকে ব্যবসায়ীরা। সেই জট কাটাতেই উদ্যোগী হন জেলাশাসক। জেলার একাধিক বাস ও মিনিবাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বেরিয়ে আসে সমাধান সূত্র। তবে এখনই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হচ্ছে না বেসরকারি বাস পরিষেবা। আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে প্রতি রুটেই কয়েকটি করে বাস নামানো হবে। মালিকপক্ষও দেখে নিতে চাইছে, যাত্রীরা কেমন সাড়া দিচ্ছেন। তবে এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে বাসকর্মীদের। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরাও যথেষ্ট বিপাকে পড়েছিলেন।
আসানসোল বাস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ন সম্পাদক রাজেন মুখোপাধ্যায় বলেন, সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বাস ও মিনিবাস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুরো ভাড়া দিয়েই যাত্রীদের যাতায়াত করতে হবে।