কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়ার মহকুমা শাসক প্রশান্ত রাজ শুক্লা বলেন, শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের জন্য আমরা তৈরি আছি। শ্রমিকরা নামার সঙ্গে সঙ্গেই থার্মাল স্ক্রিনিং থেকে শুরু করে শারীরিক পরীক্ষা করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার, মুম্বই সহ ভিন রাজ্যে থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের উত্তরবঙ্গ হয়ে কাটোয়া স্টেশনে আনা হবে। তারপর কাটোয়া থেকে ট্রেনগুলি ব্যান্ডেল ও হাওড়া স্টেশনে পৌঁছবে। স্বভাবতই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তের শ্রমিকদের প্রথমে কাটোয়া স্টেশনে আনা হবে। তারপর এখান থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাসে করে পৌঁছে দেওয়া হবে। তাই কাটোয়া মহকু্মা প্রশাসনের কাছে এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সোজা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ব্যারিকেড করা হয়েছে যাতে শ্রমিকরা ট্রেন থেকে নেমে শারীরিক পরীক্ষা না করে অন্য কোথাও চলে যেতে না পারেন। বাসস্ট্যান্ডেও স্বাস্থ্যবিভাগ, পুলিস সহ প্রশাসনের বিভিন্ন কাউন্টার করা হয়েছে। ওই কাউন্টারগুলিতে শ্রমিকরা আলাদা আলাদা লাইনে দাঁড়াবেন। তারপর জেলার বিভিন্ন ব্লক বা ভিন জেলার বাস এলে তাঁদের বাসে তুলে দেওয়া হবে। শ্রমিকরা যাতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়াতে পারেন তারজন্য পর্যাপ্ত পানীয় জল ও টিফিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাটোয়া পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, শ্রমিকদের সুষ্ঠুভাবে তাঁদের নিজের বাড়ি পৌঁছে দেওয়াই এখন আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এখন ২১টি ট্রেনে কাটোয়ায় কতজন নামবেন সেটা বুঝতে পারছি না। তবে আমাদের পুরকর্মীরা তৈরি আছেন। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোর ৫টা থেকেই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি কাটোয়া স্টেশনে ঢুকতে পারে। সারাদিন ধরেই ২১ টি ট্রেন আসবে। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে স্টেশনে নেমে ওভারব্রিজে উঠতে না পারেন, তারজন্য বাঁশ দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। বাসস্ট্যান্ড চত্বরের একদিক বাঁশের ব্যারিকেড করে রাখায় ওই এলাকার দোকানগুলি বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।