গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার দুই ছেলে। বড় ছেলে চেন্নাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন। তিনি বাসে করে সেখান থেকে আউশগ্রামের বাড়িতে ফিরেছিলেন। তাঁর কোনও উপসর্গ না থাকলেও গত ২৪ মে তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তারপরই তাঁকে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৬ মে বৃদ্ধা মা সহ পরিবারের ১১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ মে তাঁর বড় ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। আবার ওই ১১ জনের নমুনার মধ্যে ১০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও গত ৩১ মে তাঁর ৭৫ বছরের বৃদ্ধা মায়ের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। ছেলের মতো বৃদ্ধারও কোনও উপসর্গ ছিল না। ১ জুন বৃদ্ধাকে দুর্গাপুরের ওই কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর বয়স বেশি হওয়ায় স্বাস্থ্যদপ্তর উদ্বেগে ছিল। কারণ, এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বয়স্কদের জন্যই বেশি বিপজ্জনক। কিন্তু, সব বিপদকে কাটিয়ে তিনি দিব্যি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ১২১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে ওইদিন পর্যন্ত মাত্র ৩৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি ৮৫ জনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়িতে ফিরেছেন। পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকেরা আসার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে, করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। ফলে, আমরা সহজেই আক্রান্তকে চিহ্নিত করতে পারছি। তিনি বলেন, আমাদের জেলায় বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। প্রতিদিনই ৭-৮ জন করে ছুটি পাচ্ছেন। এটা স্বস্তিরই খবর। আরও ভালো খবর হল, এখনও পর্যন্ত আমাদের জেলায় করোনায় কোনও মৃত্যুও নেই। তবে, আমরা সবদিক নজরে রেখেছি। পঞ্চায়েত এলাকা থেকে পুরসভা সর্বত্রই করোনা মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।