কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা ফিরেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই শ্রমিকের কাজ করতেন। তাঁরা জেলায় ফিরে বিভিন্ন কাজ করছেন। এবং তাঁদের জবকার্ড দিয়ে ১০০ দিনের কাজে লাগানোর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। অনেকে রাজমিস্ত্রি ও জোগাড়ের কাজ করতেন। তাঁরা এখানে এসে সেই কাজ ধরতে শুরু করেছেন। কিন্তু, এর মধ্যে অনেকে পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যাঁরা কারিগরের কাজ করতেন। যেমন, টেলারিংয়ের কাজ, সোনা-রূপোর কাজ এবং এমব্রয়ডারির কাজ। এর মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রতি ব্লক থেকে তথ্য নিয়ে জেলা প্রশাসন জানতে পেরেছে, প্রায় ৫০০ জন টেলারিংয়ের কাজ জানা শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। তাঁদের দিয়েই প্রতি ব্লকে মাস্ক তৈরি ও অন্যান্য পোশাক তৈরির কাজ করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, ভিন রাজ্যে সোনা-রুপোর কাজ করতেন, এমন ৬৭৫ জন জেলায় ফিরে এসেছেন। তাঁদের দিয়ে এই জেলাতেই সোনা-রুপোর কাজ করানোরও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তার জন্য জেলা থেকে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট নিয়ে এসে নতুন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে কীভাবে মার্কেটিং করা যাবে, তারও সাপোর্ট দেবে সরকার। এমব্রয়ডারির যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদেরও এই জেলায় একই কাজ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, এখন মাস্কের ভালো চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া, আমাদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা ইতিমধ্যেই কাপড়ের থ্রি লেয়ার মাস্ক তৈরি করছেন। তাঁরা স্কুলের পোশাকও তৈরি করেন। তাঁদের মতোই আমরা পরিযায়ী শ্রমিকদের যাঁরা টেলারিং করতেন, তাঁদের দিয়ে এই কাজ করাব। আমরা এ নিয়ে মিটিং করেছি। এখন ডিপিআর তৈরি হচ্ছে। সোনা-রুপোর কারিগরদের জন্যও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়া, যাঁরাই ১০০ দিনের কাজ করতে চাইবেন, তাঁদের জবকার্ড দিয়ে দেব। প্রতি ব্লকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেন পরিযায়ী শ্রমিকরা আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জবকার্ড দিয়ে কাজে লাগানো হয়। ফলে, ভিন রাজ্য থেকে ফিরে কেউ কর্মহীন হবে না। সবারই কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।