গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম খাদিজা খাতুন(১২)। বাড়ি ভবানীপুর গ্রামে। সে স্থানীয় হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। এদিন সকালে সাইকেলের পিছনে সহপাঠী ফাজিলা খাতুনকে চাপিয়ে স্কুলে মিডডে মিলের চাল, আলু আনতে যাচ্ছিল। স্কুলে ঢোকার কিছুটা আগে সামনে থেকে আসা একটি ট্রাক্টর সাইকেলটিকে ধাক্কা মারলে দু’জনেই রাস্তার উপর পড়ে যায়। সেই সময় ট্রাক্টরের চাকা খাদিজার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রাস্তার ধারে পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচে ফাজিলা। তার বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুল অনেকটা কেটে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে এসে ঘাতক ট্রাক্টর ও চালককে ধরে আটকে রাখেন। পরে পুলিস এসে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মৃত ছাত্রীর বাবা করম শেখ দিনমজুর। তিন ভাইবোনের মধ্যে মেজ ছিল খাদিজা। লকডাউনে কর্মহীন তার বাবা। আনলক পর্ব শুরু হতেই পাশের গ্রামে ধান ঝাড়াইয়ের কাজ পান। করম শেখ বলেন, এদিন সকালে পাশের গ্রামে কাজে চলে আসি। পরে খবর পাই মেয়ে দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। স্কুল থেকে চাল, আলু পেয়ে কতই না খুশি ছিল মেয়েটা। অভাবের সংসারে ওই চাল আলু অনেকটা সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু, সব শেষ হয়ে গেল।