বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩১মে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন সুব্রত বিশ্বাস(৫১)। সেদিন রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ তিনি মারা যান। তাঁর মৃতদেহ পরিবারের লোকজনের হাতে ডেথ সার্টিফিকেট সহ তুলে দেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় সুব্রতবাবুর মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। মৃত্যুর তিনদিন পর ওই মোবাইল নম্বরে হাসপাতালের কর্মী পরিচয় দিয়ে এক মহিলা ফোন করেন। তিনি ফোন করে মৃত সুব্রতবাবুর খোঁজ করেন। ফোনটি ধরেছিলেন মৃতের ভাই প্রিয়ব্রতবাবু। ওই কর্মী বলেন, আপনি কেন কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়েছেন? এখন কোথায় আছেন? এসব শুনে প্রিয়ব্রতবাবু আকাশ থেকে পড়েন। তিনি ফোনে জানান, দাদা হাসপাতালেই মারা গিয়েছেন। ডেথ সার্টিফিকেট আমাদের কাছে আছে।
সূত্রের খবর, মৃতের নমুনা করোনা টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগ থেকেই ওই ফোন করা হয়েছিল। মৃতের ভাই অভিযোগ করে বলেন, যে হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো নেই সেখান থেকে মৃত মানুষ কোথায় আছে প্রশ্ন করা হচ্ছে। এসব দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মীরা জানেনই না যে দাদা মারা গিয়েছেন। যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল তাও তিনি ফেসবুকে তুলে দিয়েছেন। প্রিয়ব্রতবাবু বলেন, ৩১মে রাতে দাদা মারা গিয়েছেন। আমরা দাদার মৃত্যুর তিনদিন আগে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাই। কিন্তু চিকিৎসক দাদাকে না দেখেই কয়েকটা ট্যাবলেট ও স্যালাইন দিয়ে ছেড়ে দেন। পরে ৩১মে অবস্থা খারাপ হওয়ায় আবার দাদাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ভর্তি করা হয়। সেদিনই রাতে দাদার মৃত্যু হয়। এর তিনদিন পর একটা ফোন নম্বর থেকে দাদার ফোনে ফোন করে নিজেকে স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মী পরিচয় দিয়ে দাদা কোথায় জানতে চাওয়া হয়। দাদা কেন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেল, অবিলম্বে হাসপাতালে পাঠিয়ে দিতে বলেন। আমি তাঁকে বলি, দাদা হাসপাতালে মারা গিয়েছেন। হাসপাতালের দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটও আছে আমাদের কাছে। তারপরই ফোন কেটে দেন ওই মহিলা কর্মী।