পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, দু’টি ওয়ার্ড প্রায় ফাঁকা। কয়েকজন রোগী থাকলেও বাড়ির লোকের দেখা মেলেনি। একই অবস্থা বহির্বিভাগেও। এই লকডাউনের বাজারে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন রোগী আসেন, এদিন সেখানে একশো জন রোগীও আসেননি। তার উপর আবার বেশিরভাগই এসেছেন ফিভার ক্লিনিকে। এদিন সকাল থেকে হাসপাতাল চত্বর ছিল একেবারে ফাঁকা। রোগী বা রোগীর বাড়ির লোকের পরিচিত সেই ভিড় দেখা যায়নি। হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, দু’টি ওয়ার্ড থেকে অর্ধেক রোগী বাড়ি চলে গিয়েছেন। বহির্বিভাগেও সেভাবে রোগী আসছেন না। তিনি বলেন, কিচেনের কর্মীর করোনা ধরা পড়ায় আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা তা রোগী ও বাড়ির লোকদের বোঝাচ্ছি। এদিন মাইকে প্রচারও করা হয়েছে। নিজের দায়িত্বে এদিন ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে যান ডিভিসি এলাকার বাসিন্দা লক্ষ্মীকান্ত মুর্মু। সাপের কামড় খেয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি বলেন, করোনা ধরা পড়েছে শুনে ভয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, কিচেন কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর বাকি কর্মীদের কিচেনেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। এদিন ওই এলাকাকে কন্টেইনমেন্ট জোন করা হয়েছে। এলাকাটি গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদেরও বাইরে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। সকলের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।