রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের হেতমপুর পঞ্চায়েতের অধীন মোহনপুর মৌজায় ওই যক্ষ্মা হাসপাতাল নির্মিত হয়। ওই ভবনের মধ্যে ১৯৫৪ সাল ও ১৯৫৯ সালের দু’টি ফলক রয়েছে। যার মধ্যে ১৯৫৯ সালের ফলকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর নাম রয়েছে। আউটডোরের পাশাপাশি ইন্ডোর পরিষেবাও সেখানে চলত। বহু রোগীরই সেখানে চিকিৎসা করা হয়েছে। কিন্তু, ২০১১ সালের পর থেকে সেখানে ইন্ডোর পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে সেই টিবি হাসপাতালের চারপাশ আগাছায় পরিপূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাছাড়া ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ভবনের চারদিক কার্যত ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। দরজা-জানালা সবই ভেঙে গিয়েছে। এমনকী, বিদ্যুৎ পরিষেবাও নেই। জলের কোনও সংযোগ নেই। এবার সেই ভবনটিকেই নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে।
দুবরাজপুরের বিডিও অনিরুদ্ধ রায় বলেন, ওই ভবনটিকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। সেইজন্য জেলা প্রশাসনের তরফেই খরচ বহন করা হচ্ছে। প্রায় ১২-১৫ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংস্কারের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সেইমতো কাজের নজরদারি ব্লক ও জেলা প্রশাসনের তরফে করা হচ্ছে।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভবনে অন্তত ১৫০টি শয্যা করা সম্ভব হবে। তারপরেও প্রয়োজনে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো যাবে। জল, বিদ্যুৎ, জানালা-দরজাও নতুন করে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, জেলায় সাধারণত পরিযায়ী শ্রমিকদের শরীরেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। যদিও তাঁরা প্রত্যেকেই উপসর্গহীন। তাই রিপোর্ট পজিটিভ আসার কয়েকদিনের মধ্যে চিকিৎসা করে তাঁদের ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, তাঁরা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি থাকার ফলে শয্যায় অপ্রতুলতা দেখা যাচ্ছে। তাই করোনা পজিটিভ রোগীদের সরাসরি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি না করে প্রাথমিক পর্যায়ের হাসপাতালেই ভর্তি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরজন্য আপাতত রামপুরহাটের একটি লজকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। তারপর এবার দুবরাজপুরের যক্ষ্মা নিরাময় হাসপাতালকে কোভিড চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের কর্তারা বোলপুরে আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালকে কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ভবনগুলি তৈরি করে রাখা হচ্ছে। এরপর সেখানে কোভিডের প্রাথমিক চিকিৎসা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুমোদন নিতে হবে। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় আগেভাগেই প্রস্তুত থাকতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।