বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
নদীয়া জেলার শান্তিপুর থেকে পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়া যাওয়ার জন্য মূলত তিনটি ফেরিঘাট রয়েছে। শান্তিপুর পুরসভা পরিচালিত শান্তিপুর, নৃসিংহপুর এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট রয়েছে। নৃসিংহপুর এবং গুপ্তিপাড়া ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়। কল্যাণী এবং নবদ্বীপের মাঝে ভাগীরথী নদীর ওপর শান্তিপুরের কাছাকাছি কোথাও ব্রিজ না থাকায় এই ঘাটগুলি দুই জেলার সঙ্গে অন্যতম যোগাযোগের মাধ্যম বলা যায়। পরিষেবা চালু হওয়ার পরই কর্মী থেকে যাত্রী সকলেই খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু কর্মীদের আফশোস, পরিষেবা চালুর পর চার দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও যাত্রীসংখ্যা সেভাবে বাড়েনি। এই ঘাটগুলি দিয়ে মূলত নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি তন্তুজীবী, মাছ ব্যবসায়ী, সব্জি ব্যবসায়ী, অফিসযাত্রীরা পারাপার করেন। এছাড়াও ছোট-বড় যানবাহন পারাপার হয়। সাধারণ সময়ে শুধুমাত্র গুপ্তিপাড়া ঘাট থেকে প্রত্যেকদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রী পারাপার করেন। পরিষেবা পাওয়া যেত সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। সোমবার ফেরিঘাট খোলার পর থেকে ফেরি পরিষেবার সময় কমিয়ে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে। এখন প্রতিদিন প্রায় ২০০-২৫০ জন যাত্রী হচ্ছে।
ফেরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক কর্মচারী শিবেন দত্ত বলেন, সরকার থেকে বলা হয়েছে ৪০ জনের বেশি যাত্রী একবারে নেওয়া যাবে না। কিন্তু আমাদের ফেরিতে একবারে জনা কুড়ির বেশি লোক হচ্ছে না। আগে দুটো নৌকা চলত, এখন একটা চলছে। দীর্ঘদিন ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকার পর এখন চালু হয়েছে সেটাই আমাদের কাছে মন্দের ভালো। তবে সচেতনতার দিকেও আমরা খেয়াল রাখছি। যাত্রীদের মাস্ক পরিয়ে, হাত ধুইয়ে আমরা নৌকায় তুলছি। নৌকার মালিক বিকাশ সাহা বলেন, মাসে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে পুরসভা থেকে লিজ নিয়ে নৌকা চালানো হয়। ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও এত কর্মচারীর জীবিকা এবং যাত্রীদের পরিষেবার কথা মাথায় রেখে আমরা নৌকা চালিয়ে যাব। আগামী দিন থেকে আরও একটি নৌকা নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক যাত্রী বলেন, এখন মানুষজন যত কম বাইরে বের হন ততই ভালো। বাইরে বেরলেই সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। অবশ্য খুব প্রয়োজন বা চাকরি বাঁচাতে গেলে বেরতে হবেই।