পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পারুলডাঙার বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির জল বাড়ির মধ্যে ঢুকে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসন সক্রিয় না হওয়ায় এলাকার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দক্ষিণ গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা বিজন বসাক বলেন, এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার পাশের সব ড্রেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অথচ বৃষ্টির জল পাশ হওয়ার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। বহু জায়গায় পাড়ার ভিতরেও জল জমে যাচ্ছে। গ্রামের মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছে। প্রশাসনের তরফে জমা জল বের করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। ফলে, গ্রামবাসীরা বাধ্য হয়ে নিজেরাই জল নিষ্কাশনের কাজে হাত লাগান। ওই জমা জল থেকে এলাকায় রোগ সংক্রমণের আশঙ্কা ছিল।
পারুলডাঙার বাসিন্দা তথা ব্লক তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি কালো শেখ বলেন, রাস্তার পাশের ড্রেনগুলি বুজিয়ে দেওয়ার জন্য বহু মানুষের বাড়িতে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়েছিল। এর জন্য ঠিকাদার দায়ী। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক থাকলে রাস্তার পাশে বসবাসকারী বাসিন্দাদের বাড়িতে আর বৃষ্টির জল ঢুকতে পারত না। বৃষ্টির জমা জল নিয়ে দুর্ভোগের কথা স্বীকার করেছেন নসরৎপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আনারুল মণ্ডল। তিনি বলেন, রাস্তা তৈরির জন্য ঠিকাদার দু’পাশের ড্রেনগুলিকে ঠিক করে রাখলে এই সমস্যা হতো না। গোটা ব্লকের মধ্যে নসরৎপুর অঞ্চলে বেশি মানুষের বসবাস। এটা তাঁত অধ্যুষিত এলাকা। আমরা পঞ্চায়েতের উদ্যোগে জেসিবি দিয়ে ড্রেন কাটার কাজ শুরু করছি। আশা করি কয়েকদিনের মধ্যে সমসা মিটে যাবে।
জানা গিয়েছে, এক বছর আগে এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে সমস্ত পুরনো পিচ রাস্তা খুঁড়ে তুলে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে রাস্তার দু’পাশের ড্রেন বুজে গিয়েছে। যার ফলে বৃষ্টির জল জমে যাচ্ছে। বর্তমানে ছাতনি থেকে নান্দাই পর্যন্ত ৪০ কিমি রাস্তার এমন অবস্থা যে, এর কোথাও হেঁটে যাতায়াত করাই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও সোমবার থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এসটিকেকে রোড সম্প্রসারণের কাজ পুনরায় শুরু হয়েছে।