পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
আরামবাগ এসডিও অফিসের ডাটা এন্ট্রি ম্যানেজার শেখ আসাদুল হোসেন বলেন, আমাদের এই কাজ স্কুলেই করার কথা। কিন্তু, লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ রয়েছে। এমনকী, অধিকাংশ স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই ছাত্রীদের যাতে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে কোনওরকম সমস্যা না হয় এবং প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করতে আমরা এখানেই কাজ করছি। আরামবাগ পুরসভা এলাকার ৫১২ জন আবেদনকারীর মধ্যে ১৪২ জনের অনলাইন আপগ্রেডেশনের কাজ ইতিমধ্যে করা গিয়েছে। মহকুমার সব মিলিয়ে প্রায় দু’হাজার জনের আবেদনের আপগ্রেডেশন হয়েছে। বাকিগুলির কাজও খুব দ্রুত শেষ করা হবে। বৃহস্পতিবার আরামবাগ এসডিও অফিসে কন্যাশ্রী ফর্ম নিতে আসেন আরামবাগ গার্লস স্কুলের উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষার্থী শ্রেয়সী দে। শ্রেয়সী বলে, বন্ধুদের কাছ থেকে আমি জানতে পারি, কন্যাশ্রীর জন্য আবেদন জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। তাই এদিন এসডিও অফিসে আবেদনপত্র নিতে এসেছি। উচ্চ মাধ্যমিকের কিছু পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছে। শেষ হলেই কলেজে ভর্তি হতে হবে। তাছাড়া পড়াশোনার অন্যান্য খরচও আছে। তাই ওই টাকা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের খুবই সাহায্য করবে।
উল্লেখ্য, নাবালিকা বিয়ে রুখতে এবং গরিব ঘরের মেয়েদের যাতে টাকার অভাবে পড়াশোনা বন্ধ না হয়, সেই দিকে লক্ষ্য রেখেই ২০১৪ সালে রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু করেছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা বছরে একবার পাঁচশো টাকা করে বৃত্তি পায়। পাশাপাশি ১৮ বছরের পর বিয়ে না করে পড়াশোনা চালিয়ে গেলে এককালীন পঁচিশ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এর জন্য আবেদনকারীকে অবিবাহিত থাকার শংসাপত্র ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হয়।
হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো লকডাউনেও ওই প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দুঃস্থ ছাত্রীদের যাতে আর্থিক সমস্যায় পড়তে না হয়, তার জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্পে সাহায্য দেওয়া বন্ধ হয়নি। লকডাউনের সময় আবেদনকারীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় তা দেখা হচ্ছে।