বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলার প্রায় পাঁচশোর বেশি বেসরকারি স্কুল আছে। ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া টিউশন ফিতে সেইসব স্কুলের শিক্ষকদের বেতন হয়। ক্লাস না হওয়ায় স্কুলগুলি কোনও টিউশনি ফি নিতে পারছে না। ফলে স্কুলের শিক্ষক থেকে অশিক্ষক এমনকী স্কুলগাড়ির চালকদেরও বেতন দিতে পারছে না বহু স্কুল কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরা জানান, সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা বেতন পেলেও তাঁরা কোনও বেতন পাচ্ছেন না। ফলে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তেহট্ট এলাকার এক বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা বলেন, আমাদের স্কুলে প্রায় ৫০০ ছাত্রছাত্রী আছে। শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মী মিলিয়ে ২৭ জন কাজ করি। লকডাউনের কারণে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে স্কুল বন্ধ। স্কুল কর্তৃপক্ষ মার্চ মাসের বেতন দিয়েছে। তারপর এপ্রিল, মে মাসের বেতন বন্ধ। এমনকী জুন মাসের বেতন পাওয়া যাবে না বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, স্কুল থেকে নিয়মিত বেতন পেতাম বলে ঋণ করে কিস্তিতে জিনিস কিনেছিলাম। সেই টাকাও গত দু’মাস দিতে পারছি না। বেতন না পাওয়ায় সংসার চালাতে পারছি না। আমরা খুব সমস্যায় পড়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলাম, স্কুলের ফান্ডে যা টাকা আছে তা থেকে আমাদের বেতনের কিছু টাকা দিলে খুব উপকার হয়। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই কথা কানেই তুলছে না।
করিমপুরের এক স্কুলশিক্ষক মলয় শীল বলেন, সারা দেশের সঙ্গে রাজ্যেও করোনা আক্রান্তের তালিকা লম্বা হচ্ছে। এই সময়ে একসঙ্গে ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে এনে ক্লাস করা সম্ভব নয়। আমরা বেতন না পেয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছি। ছাত্রছাত্রীদের যাতে ক্ষতি না হয়, সেজন্য অনেক স্কুল অনলাইন ক্লাস করা শুরু করেছে। তারপরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কথা ভাবছে না। এরকম চলতে থাকলে আমরা আগামী দিনে কী করব জানি না।
অনেকে স্কুলে পড়ানোর সঙ্গে টিউশনিও পড়ান। এখন তাও বন্ধ। সব মিলিয়ে আমাদের করুণ অবস্থা। তেহট্টের মহকুমাশাসক অনীশ দাশগুপ্ত বলেন, বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা মাইনে পাচ্ছেন না বলে জানা ছিল না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।