পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইক্লোনে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ১০হাজার ১৩৪জন মৎস্যজীবীর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফান্ড(এসডিআরএফ) থেকে এই জেলাকে ১৯৮কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন ওই টাকা ব্লকস্তরে পাঠিয়ে দিয়েছে। ব্লক থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হবে বলে মৎস্য দপ্তরের সহ অধিকর্তা সৌরীন্দ্রনাথ জানা জানিয়েছেন। জেলায় সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি মেরামতের জন্য ১০হাজার ১৩৪মৎস্যজীবীর অ্যাকাউন্টে ২০কোটি ২৬লক্ষ ৮০হাজার টাকা দেওয়া হবে।
সাইক্লোনে জেলায় মোট ৪৪৫টি নৌকার ক্ষতি হয়েছে। রামনগর-১ ও ২, দেশপ্রাণ, খেজুরি-২, ভগবানপুর-১, নন্দীগ্রাম-১, মহিষাদল, সুতাহাটা, ময়না সহ বেশকিছু ব্লকে অনেক নৌকা ভেঙে গিয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত নৌকার জন্য পাঁচ হাজার টাকা এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১০হাজার টাকা দেওয়া হবে। এজন্য প্রায় ৪০লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এছাড়াও ১১১৫টি মাছ ধরার জাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিটি জালের জন্য ২৬০০টাকা দেওয়া হবে। ২২২৮জন মৎস্যজীবীকে ৩০০টাকা দামের হাঁড়ি দেওয়া হবে। এছাড়াও ২কোটি ৩লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে জলাশয় শোধন করার জন্য। প্রতি হেক্টরের জন্য ১০০কেজি চুন এবং দু’কেজি পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট সরবরাহ করা হবে। দপ্তরের সহ অধিকর্তা সৌরীন্দ্রনাথ জানা বলেন, প্রায় ১০হাজার জলাশয় দূষণমুক্ত করা হবে।
দেশপ্রাণ ব্লকের আমতলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আমতলিয়া গ্রামের মৎস্যজীবী গোপাল দাস ও দাড়িয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টিয়াকলা গ্রামের মৎস্যজীবী মানিক গাড়ু বলেন, সাইক্লোনে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। উপকূল এলাকার মৎস্যজীবীদের ঘরবাড়ি থেকে মাছ ধরার যাবতীয় জিনিসপত্র তছনছ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সাহায্য করায় গরিব মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবে।
উম-পুন পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে বৃহস্পতিবার তমলুকে মৎস্য দপ্তরে বৈঠক হয়। সেখানে সাইক্লোনে মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদ্ধতি নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন ওঠে। ব্লক এক্সটেনশন অফিসারদের বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবীর তালিকা তৈরি করা হয়েছে অফিসারদের মাধ্যমে। এই মুহূর্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে ব্লক তথা পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে।
প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা বঞ্চিত হলে মৎস্য দপ্তরের ব্লক স্তরের এক্সটেনশন অফিসাররা বিপদে পড়ে যাবেন। তাই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় অফিসারদের যুক্ত করা হোক। অফিসারদের এই দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী। তিনি বলেন, মৎস্য দপ্তরের ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা দেওয়ার বিষয়টি অফিসারদের হাতেই থাকা উচিত। বিষয়টি অতিরিক্ত জেলাশাসক(ট্রেজারি) এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক(সাধারণ)কে জানানো হয়েছে। তাঁরা এবিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।