সংবাদদাতা, খড়্গপুর: করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের কিচেনের ঠিকাকর্মীদের কোয়ারেন্টাইনেই থাকতে হবে। খড়্গপুরের এসিএমওএইচ দেবাশিস পাল বলেন, রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, কিচেনের এক কর্মীর করোনা ধরা পড়ার পর বাকি ১৫ জন কর্মীকে মঙ্গলবার রাতে কিচেনেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়। তাঁরা যাতে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে না পারেন, সেদিকে নজর রেখেছে পুলিস। ওই দিনই তাঁদের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে কিচেনের ঠিকাদারকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জন ঠিকাকর্মীর নমুনা সংগ্রহ করা হলেও কবে পরীক্ষা করা হবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এক আধিকারিক বলেন, যে কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে, তাঁর ক্ষেত্রেও রিপোর্ট আসে প্রায় ১০ দিন পরে। এঁদের ক্ষেত্রেও দেরি হবে। এদিকে আবার হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরাও তাঁদের নমুনা পরীক্ষার দাবি তুলেছেন।
হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা ঠিকাকর্মীদের নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছি। তবে কবে পরীক্ষা করার জন্য নমুনা নেওয়া হবে, তা বলা যাচ্ছে না। কারণ এখন প্রতিদিন খুব কম সংখ্যক নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার বিষয়টা আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। এসিএমওএইচ দেবাশিসবাবু বলেন, হাসপাতালের কর্মীদের নমুনা পরীক্ষার বিষয়টি গাইড লাইনে বলা নেই। কিচেনের ঠিককর্মীরা সরাসরি রোগীদের সংস্পর্শে আসেন না, তাই এনিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই।