কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের জেলা আধিকারিক সুদীপ্ত সাঁতরা বলেন, প্রতিটি ব্লকেই সাধারণের পাশাপাশি এসসি, এসটি ও সংখ্যালঘুদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক বাড়ির অনুমোদন থাকে। কিন্তু, বিভিন্ন ব্লকে সেই লক্ষ্যমাত্রা এবার পূরণ হয়নি। তাই ওই কয়েক হাজার বাড়ি এবার সাধারণ তালিকাভুক্ত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাওয়া গেলে ওই বাড়িগুলির কোটা বিভিন্ন ব্লকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এই প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, উপভোক্তার ৪০০ বর্গফুট নিজের নামে জমি থাকা আবাশ্যক। জমি থাকলে এবং দুঃস্থ হলে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। প্রথমে ৬০ হাজার টাকা, পরবর্তীক্ষেত্রে ৬০ হাজার এবং সব শেষে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সমস্ত টাকাই তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যায়। এই প্রকল্পে একটি ঘর, বারান্দা এবং একটি রান্নাঘর তৈরি করা হয়। উপভোক্তাকেই উদ্যোগ নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে হয়। বাড়ি তৈরিতে কোনও ঠিকাদার নিয়োগ করা যায় না।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, প্রথম দফার টাকা দেওয়ার আগে বাড়ির প্রস্তাবিত জমির ছবি তুলতে হয়। নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে তা আপলোড করতে হয়। প্রথম দফার টাকায় বাড়ির কাজ করার পর সেই ছবি তুলে তা আপলোড করতে হয়। তখন দ্বিতীয় দফার টাকা পাওয়া যায়। আর সব শেষে সম্পূর্ণ হওয়া বাড়ির ছবি তুলে আপলোড করতে হয়। তারপর ১০ হাজার টাকা পাওয়া যায়। ফলে, কেউ চাইলে এক জমি দেখিয়ে অন্য জমিতে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরে জেলায় ৪৫ হাজার ৭৪৯টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২১টি ব্লকেই আবাস যোজনার নির্দিষ্ট বাড়ির তালিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলার পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্লকে ২৭ হাজার ৬৯৬টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে। নারায়ণগড় ব্লকে ৪১৪৪টি বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। এই ব্লকের বিডিও বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, আমাদের ব্লকে এই প্রকল্পে যা বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে, পঞ্চায়েতগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই তার কাজ হবে। সবং ব্লকের ৩৯৩০টি বাড়ি তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব থেকে কম রয়েছে গড়বেতা-১ ব্লকে। এই ব্লকে মাত্র ২১টি বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে। গড়বেতা-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেবাব্রত ঘোষ বলেন, আবাস যোজনায় এর আগে আমাদের ব্লকে কয়েক হাজার বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। তাই এবার অল্প বরাদ্দ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে বিভিন্ন ব্লকে যা বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে, তা এসসি, এসটি, মাইনোরিটি সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবারের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। উপযুক্ত উপভোক্তা না পাওয়ায় জেলায় ১৮ হাজার ৫৩টি বাড়ি পড়ে রয়েছে। এই বাড়ি সাধারণ তালিকাভুক্ত করা হলে ফের জেলার বিভিন্ন ব্লকে সাধারণ দুঃস্থদের বাড়ি তৈরির জন্য টাকা দেওয়া যাবে।