বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
এসিপি(পশ্চিম) শান্তব্রত চন্দ্র বলেন, ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় বাবার যোগ স্পষ্ট। আমরা তাকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছি। ছেলের মৃত্যুর পর ঘটনা নিয়ে নানা ভ্রান্ত তথ্য দিয়ে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছে ধৃত।
সোমবার রাতে হীরাপুর থানার চিত্রা সিনেমা হলের পিছনে পাঞ্জাবি পাড়ায় নিজেদের বাড়িতেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় নাবালক শরণদীপ সিংয়ের। হাসপাতালেই তার বাবা ভূপেন্দ্রর সিং বলে, ছেলে হালুয়া ও সমোসা খেতে চেয়েছিল। তাই চিত্রা মোড় থেকে চিনি, সুজি, সমোসা আনতে গিয়েছিলাম। বাইরে থেকে চাবি লাগিয়ে গিয়েছিলাম। চাবি খুলে দেখি ছেলে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পুলিস তদন্তে নেমে বাড়ি থেকেই উদ্ধার করে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র। তারপরই ঘটনায় মৃতের বাবাকে সন্দেহ করে। পুলিস চিত্রা মোড়ের দোকানগুলিতে সন্দেহভাজনের ছবি দেখিয়ে খোঁজ নেয় যে সে শুক্রবার সন্ধ্যায় দোকান এসেছিল কি না। কিন্তু প্রত্যেকেই জানায় সে সেদিন তাদের দোকানে আসেনি। এরপর পুলিস সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেও নিশ্চিত হয় যে ওই সময়ে মৃতের বাবা বাইরে থাকার দাবি করলেও তা মিথ্যা। কখনও জানালা থেকে দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে, কখনও অন্যদের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে থাকে ভূপেন্দ্র। তবে বাবার এই অপরাধ নিয়ে পুলিস নিশ্চিত হয় তার অস্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর ছেলেকে নিজের কাছেই সব সময়ে রাখতে গিয়ে কার্যত তার উপর অত্যাচার শুরু করে বাবা। নিজে বাইরে গেলে ছেলেকে তালবন্ধ করে রাখত। এমনকী প্রথমদিকে তাকে স্কুলেও ভর্তি করেনি। পরে আত্মীয়দের চাপে সরাসরি গুরুদোয়ারা স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করে। পাশ করে সে এখন পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ছে। কিন্তু দীর্ঘদিন স্বাভাবিক জীবন না পেয়ে ছেলেও বাবার মতো বদমেজাজি হয়ে ওঠে। ভূপেন্দ্র একাধিক ঝামেলার সঙ্গে জড়িত ছিল। কথায় কথায় লাঠি, রড নিয়ে কখনও প্রতিবেশী, কখনও আত্মীয়দের মারতে উদ্যত হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, ভূপেন্দ্রর এক দাদা সংসার চালানোর জন্য ঘটনার দিনই সাড়ে চার হাজার টাকা দিয়েছিল। খুব সম্ভবত তা জানতে পেরে কিছু কেনার জন্য বায়না ধরে শরণদীপ। তা নিয়েই বাবা ছেলের মধ্যে অশান্তি হয়। তখনই নিজের মেজাজ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গুলি চালিয়ে বসে সে। যদিও পুরো ঘটনাটি এখনও স্বীকার করেনি ধৃত। এদিন তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হয়। বিচারক পাঁচদিন পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।