বিদ্যার্থীদের উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। ব্যবসাতে যুক্ত ... বিশদ
বর্ধমান শহরে যাত্রী পরিবহণের জন্য টাউন সার্ভিস মিনিবাস চলাচল করে। এই শহরে এখনও অটো চালু হয়নি। টোটো থাকলেও শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাওয়ার জন্য এই মিনিবাসই সাধারণ মানুষের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু, লকডাউন শুরুর দিন থেকেই গোটা জেলায় বাস চলাচল বন্ধের পাশাপাশি টাউন সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায়। গত ৩১ মে চতুর্থদফা লকডাউন শেষ হওয়ার দিন থেকেই অল্প করে টাউন সার্ভিসের মিনিবাস রাস্তায় নেমেছে। ১ জুন আনলক-১ থেকে সেই সংখ্যাটা ক্রমশ বাড়ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি সিটেই যাত্রী নিতে বলা হয়েছে। কিন্তু, সিটে দু’জন যাত্রী বসলে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে বজায় থাকবে? সেই ভাবনা থেকেই সিটের মাঝখানে প্লাস্টিকের পর্দা ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নেন মালিকপক্ষ। এর ফলে, যাত্রীরা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন। তাছাড়া, অন্য যাত্রীর সঙ্গে স্পর্শ হওয়ায় ভয়ও নেই। মালিকপক্ষের দবি, শুধু পর্দা লাগিয়ে দেওয়া নয়, তা সময়ে সময়ে নিয়মিত স্যানিটাইজ করা হচ্ছে। যাতে জীবাণুমুক্ত থাকে। চালকের আসনের চারপাশেও প্লাস্টিকের পর্দা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এই প্লাস্টিকের পর্দা অত্যন্ত কার্যকরী এবং তুলনামূলক সস্তাও। সেই কারণে গত মে মাসের শুরুতেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের কার্ডিওলজি বিভাগেও বড় প্লাস্টিকের পর্দা লাগানো হয়েছে। ওই পর্দার একদিকে চিকিৎসক থাকছেন, অন্যদিকে থাকছেন রোগী।
টাউস সার্ভিস চালু হলেও এখন সেভাবে যাত্রী হচ্ছে না। তাই সংখ্যায় যেমন কম মিনিবাস চলছে, তেমনই দুপুরের পর মিনিবাস রাস্তায় থাকছে না। সংগঠনের দাবি, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করা হচ্ছে। বর্ধমান মিনিবাস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যাত্রী সুরক্ষা ও সংক্রমণ ঠেকানোর জন্যই আমরা মিনিবাসের সিটের মাঝখানে ওই প্লাস্টিকের পর্দা লাগিয়েছি। টাউন সার্ভিসের পূর্ত ভবন-নবাবহাট, আলিশা-নবাবহাট, চন্দ্রহাটি-আলিশা, জয়কৃষ্ণপুর-আলিশা প্রভৃতি রুটের ১১টি মিনিবাসে এই পর্দা লাগানো হয়েছে। তিনি বলেন, এখন যাত্রী সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিনিবাস চলছে। বিকেলের পর কয়েকটি জায়গায় চললেও সব জায়গায় চালানো যাচ্ছে না। ধীরে ধীরে সবই চলবে। ওই পর্দা লাগানোর পাশাপাশি, আমরা কনডাক্টর, কর্মী, চালক সবাইকে মুখে মাস্ক অথবা কাপড় দিতে বলেছি। গ্লাভসও পরতে বলেছি। সঙ্গে স্যানিটাইজারও রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে যাত্রীরাও যাতে সকলে মাস্ক পরে বাসে ওঠেন, তার জন্য আমরা প্রতিটি বাসে মাস্ক পরার আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিও টাঙিয়েছি।