কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী বলেন, ডেঙ্গু সহ পতঙ্গ বাহিত রোগ নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে। করোনা নিয়েও আমরা মঙ্গলবার থেকে জেলার ২১৫টি পঞ্চায়েতেই সচেতনতামূলক প্রচার শুরু করেছি। সেই সঙ্গে আমরা গোটা জেলায় নজরদারিও চালাচ্ছি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরছেন। তাই এই সময় করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার বেশি জরুরি। কারণ, পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফেরার আগে জেলায় করোনা সংক্রমণের অন্য চিত্র ছিল। কিন্তু, হাজার হাজার শ্রমিক ফিরতেই সেই সংখ্যাটা পুরো বদলে গিয়েছে। জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও একশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। মহারাষ্ট্র, দিল্লি, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু এই পাঁচটি রাজ্য থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, পাঁচটি রাজ্য বাদে অন্য রাজ্য থেকেও হাজার হাজার মানুষ জেলায় ফিরছেন। তাঁদের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। তাই হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য কিছু বিধি নিষেধ মানতে হয়। শ্রমিক পরিবারের লোকজনেরা যাতে তা মেনে চলেন তার জন্য প্রচার দরকার। দ্বিতীয়ত, অনেকে ওই পাঁচটি রাজ্য বাদে অন্য রাজ্য থেকে ফিরলেও অনেক এলাকায় তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। ফলে, ওই মানুষগুলি হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের দাবি, ওই পাঁচটি রাজ্যকে হাই বার্ডেন স্টেট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু, বাকি রাজ্য থেকে ফিরলে তাঁরা নিজেদের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সচেতন থাকলে সংক্রমণের ভয়ও নেই। তাই ওই বিষয়টিও সচেতনতামূলক প্রচার করা হবে। যাতে কেউ বাধার সম্মুখীন না হন। এছাড়াও করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত বিষয়গুলি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচার করা হবে। বারে বারে হাত ধোওয়া, সামাজিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়া, জ্বর-সর্দি সহ করোনা উপসর্গ থাকলে হাসপাতালে যাওয়া প্রভৃতি। যাতে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য নিয়ে গ্রামীণ এলাকার সকলেই সচেতন হন।
অন্যদিকে, ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরে ডেঙ্গু সহ প্রতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে গত ২১ এপ্রিল রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী গত ২২ এপ্রিল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের অতিরিক্ত এগজিকিউটিভ অফিসার ২৩টি পঞ্চায়েত সমিতিকে নির্দেশও পাঠিয়েছেন। তারপরই ধীরে ধীরে এই প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জেলার ২১৫টি পঞ্চায়েতে ২১৫ জন সুপারভাইজার সহ ভেক্টর বর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল টিমের মোট ৩১৭০ জন কর্মী মাঠে নেমে কাজ শুরু করেছেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়া, ডেঙ্গু নিয়ে সচেতনতা করা, এলাকার নোংরা ও আবর্জনা স্থান পরিষ্কার করা কাজগুলি চলছে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ বাগবুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু সহ প্রতঙ্গ বাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মসূচি আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।